একাধিক বেসরকারি ব্যাঙ্ক ছাড়াও, গুগল পে, কর্পোরেশনের ওয়েবসাইট থেকেও সম্পত্তিকর জমা দেওয়া যাবে।’ অনলাইনে সম্পত্তি কর জমা দেওয়ার এই সবক’টি লিঙ্কের উল্লেখ পুরকরের বিলেও থাকবে। পুরসভার ওয়েবসাইটেও মিলবে এই লিঙ্কগুলি। সপ্তাহ দুয়েক আগে মুর্শিদাবাদারের বাসিন্দা শুভময় চক্রবর্তী ‘টক টু মেয়র’ অনুষ্ঠানে ফোন করে অভিযোগ করেন, পুরসভার পোর্টালে ঢুকে সম্পত্তিকর জমা দিতে গেলেই থমকে যাচ্ছে ওয়েবসাইট। তাঁর পক্ষে মুর্শিদাবাদ থেকে গিয়ে পুরকর জমা করা সম্ভব নয়।
এই সমস্যা সমাধানের আর্জি মেয়রের কাছে রাখেন তিনি। গত কয়েক মাসে পুরসভার কন্ট্রোল রুমে ফোন করে অনেকেই অনলাইন পেমেন্ট নিয়ে অভিযোগ করেছেন। কারও অভিজ্ঞতা, টাকা কেটে নেওয়ার পরও রসিদ মিলছে না। কেউ জানিয়েছেন, লেনদেন শেষ হওয়ার পরেও দেখাচ্ছে টাকা জমা হয়নি। এই অভিযোগ কেন আসছে, তা দ্রুত খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা সপ্তাহখানেক তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগকে নেওয়ার কথা জানান পুর কমিশনার বিনোদ কুমার।
কারণ অনুসন্ধানে নেমে তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের কর্তারা জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে ছ’হাজার মানুষ অনলাইনে সম্পত্তিকর দেন। একই সময়ে এক সঙ্গে অনেকে পোর্টালে ঢুকে সম্পত্তিকর দিতে চাওয়াতেই হচ্ছে বিপত্তি। হ্যাং হয়ে যাচ্ছে ওয়েবসাইট। সে-কারণেই পুরসভা চাইছে, পুরসভার ওয়েবসাইট ছাড়াও অন্যান্য গেটওয়ে ব্যবহার করুক বাসিন্দারা। ট্রেড লাইসেন্স-সহ অন্যান্য বিভাগের ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর করা হচ্ছে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (তথ্যপ্রযুক্তি) সন্দীপন সাহা আশাবাদী, নয়া ব্যবস্থায় শহরের বাসিন্দাদের থেকে অনলাইন পেমেন্ট সংক্রান্ত আর কোনও অভিযোগ আসবে না।