তিনি আরও বলেন, “এখন BJP উন্নয়ন নিয়ে কথা না বলে ধর্মের ভিত্তিতে রাজনীতি করছে। ভারতীয় নাগরিকদের ধর্মের ভিত্তিতে গোনা হয় না। বিশ্বে সব থেকে বেশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষের বাস ইন্দোনেশিয়ায়। তার পরেই সব থেকে বেশি মুসলিম ভারতবর্ষে বসবাস করেন। ভারতবর্ষ ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ। স্থানীয় মানুষের দাবি মেনে প্রথম আসামে NRC-র কথা হয়। আর ভারতবর্ষের কোথাও NRC-র কথা হয়নি। এবং আসামে ধর্মের ভিত্তিতে NRC-র কথা হয়নি। বহিরাগত আর স্থানীয় কত তার ভিত্তিতে NRC হয়েছে।”
অধীর আরও বলেন, “জম্মু ও কাশ্মীরে নতুন করে সামরিক বাহিনীর উপরে হামলা হচ্ছে। BJP শাসিত রাজ্য মণিপুরে কেন দাঙ্গা হাঙ্গামা চলছে, পেট্রোল ডিজেল রান্নার গ্যাসের দাম কেন বেড়ে চলেছে, তার জবাব দিতে হবে BJP সরকারকে।”
তিনি আরও বলেন, “দেশে ধর্মীয় মেরুকরণ করে আর লাভ হবে না। সাধারণ মানুষ BJP-র মতলব বুঝে গিয়েছেন। তাঁরা আর BJP-র পাতা ফাঁদে পা দেবেন না। পরের বছরেই লোকশোভা নির্বাচন। মানুষ সেখানেই তাঁদের উপযুক্ত জবাব দেবেন।”
NRC-র নাম করে ধাপ্পাবাজি আর কত করবেন, একথা বলে আক্রমণ করেন অধীর। তিনি BJP-র বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বলেন, “ভারতের প্রধানমন্ত্রী রেল, BSNL সব বিক্রি করে দিচ্ছেন। কিন্তু জিনিসপত্রের দাম কমানো নিয়ে কোনও শব্দ উচ্চারন করছেন না।”
এদিন, অধীর চৌধুরীর হাত ধরে প্রায় শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী কংগ্রেসে যোগদান করেন এবং তাদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়। কংগ্রেসে যোগদান করে এক ব্যক্তি বলেন, “এতদিন আমরা তৃণমূল করতাম। আজ থেকে কংগ্রেসে যোগ দিলাম। আমাদের এলাকায় তৃণমূল নেতারা লাগামছাড়া দুর্নীতি করেছেন। আমরা তাঁর প্রতিবাদ করায় আমাদেরকে হুমকি দেওয়া হয়। তাই আমরা এবার তৃণমূল ছেড়ে বেরিয়ে এলাম। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে আমাদের এলাকার কংগ্রেসকে ভালো ব্যবধানে জয়লাভ করাবো।”
