মিখাইল জানান, রাজ্য সরকার তাঁদের পাশে থাকার কথা বলেছিল এবং পশ্চিমবঙ্গে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল। সেই মতো কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। মিখাইল আরও জানান, এখানে প্র্যাকটিক্যালের ব্যবস্থা করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু এখানে কোনও শংসাপত্র না পাওয়ায় পুনরায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইউক্রেনে ফিরে গিয়ে ডাক্তারি পড়া শেষ করতে হবে।
আর ঘরের ছেলে ফের ডাক্তারি পড়তে ইউক্রেনে পাড়ি দেওয়ায় উদ্বেগে পরিবার৷ মন খারাপ পরিবারের সকলের৷ ভাই ওয়াসিম রেজারও মন খারাপ দাদা ফের এই পরিস্থিতিতে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যাওয়ায়। মিখাইলের বাবা শেখ নাসির উদ্দিন বলেন, ‘‘ছেলে ইউক্রেনে গিয়ে ফের কী সমস্যায় পড়বে জানি না। আমরা উৎকণ্ঠায় থাকব। ছেলেকে ঝুঁকি নিয়ে যেতে হচ্ছে। কারণ সেটা না হলে ওর ডাক্তারি পড়া শেষ হবে না।’’ জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আমতার নারিটের বাসিন্দা শেখ নাসির উদ্দিন এবং লুৎফুন্নেশা বেগমের ছেলে মিখাইল আলম ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়তে যান। ২০২১ সালে কোভিড পরিস্থিতির কারণে দেশে ফিরে আসেন তিনি। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে গত বছর অগাস্ট মাসে ইউক্রেনে ফিরে যান মিখাইল। এর মাঝে ইউক্রেন-রাশিয়ায় যুদ্ধ শুরু হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পড়ুয়াদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়। পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি একসঙ্গে ৩০ জায়গায় হামলা হওয়ার পর মিখাইল ও তাঁর বন্ধুরা ইউক্রেন ছাড়ার পরিকল্পনা করেন। তাঁরা রোমানিয়া হয়ে দেশে ফেরেন।
প্রসঙ্গত, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে ইউক্রেনে ডাক্তারি পড়া ছেড়ে বহু ছাত্র ভারতে ফিরে এসেছিলেন সেসময়। তাঁদের আশা ছিল, তাঁরা এই দেশে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ পাবেন। ভারত সরকার তাঁদের ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দেবে বলেই আশায় বুক বেঁধেছিলেন ভবিষ্যতের চিকিৎসকরা। যদিও ভারত সরকার তাঁদের ডাক্তারি পড়ার কোনও সুযোগ দেয়নি বলেই অভিযোগ৷ ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে একরাশ আতঙ্ক নিয়ে পুনরায় তাঁদের ইউক্রেনে ফিরে যেতে হচ্ছে। সেই রকমই একজন ছাত্র আমতার নারিটের মিখাইল আলম। মিখাইল ইউক্রেনের ইভানোর ফ্র্যাঙ্ককিসভ ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে MBBS এর চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়া। বৃহস্পতিবার দুপুরে মিখাইল ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন।