এই সময়: প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির মামলায় মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডলকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের বিষয়ে শনিবার তাপসকে প্রশ্ন করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীরা মনে করছেন, এর আগে তাপসকে চার বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হলেও বেশ কিছু বিষয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়ে গিয়েছে। ডিএলএড কলেজে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলেও কী ভাবে অফলাইনে চাকরিপ্রার্থীদের ভর্তি করা হয়েছিল, আইনে তার সংস্থান আছে কি না, সেই জন্য ছাত্র পিছু ৫ হাজার টাকা করে মোট যে ২১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছিল, সেটা কী ভাবে ও কার কাছে পাঠানো হয়, তা নিয়েও তাপসের কাছে এ দিন জানতে চাওয়া হয়। সেই টাকা কেবল মানিকের কাছেই পৌঁছেছিল, নাকি সেই টাকার ভাগ আরও কেউ পেয়েছেন, তা খতিয়ে দেখতে চাইছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। Anubrata Mondal : দিল্লি ‘সফরের’ জল্পনা আরও জোরালো, অনুব্রতকে জেরা করতে ফের জেলে CBI শনিবার দুপুর ১২টা নাগাদ সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে ঢোকেন তাপস মণ্ডল। এ দিন তাঁকে প্রায় সাত ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রের খবর। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করেছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
Anubarta Mondal : আরও বিপদে অনুব্রত! কেষ্টকে দিল্লিতে নিয়ে যেতে শুক্রবারই আদালতে ইডি প্রাথমকি শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচাযর্যের ঘনিষ্ঠ তাপস মণ্ডল অল বেঙ্গল টিচার্স ট্রেনিং অ্যাচিভার্স অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠনের সভাপতি ছিলেন। সেই সংগঠনের অধীনে যে ডিএলএড কলেজগুলি রয়েছে, সেখান থেকেই চাকরিপ্রার্থীদের ডিগ্রি দেওয়া হয়েছিল। তাপসের অফিসে কর্মরত তিন হিসাবরক্ষকেও তলব করেন তদন্তকারীরা। তাঁদের মধ্যে তাপস মিশ্র হাজিরা দেননি। এ দিন জেরা জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাপস মণ্ডল সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাপস মিশ্র কেন আসেননি, সেটা আমার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। বেশি কিছু জিজ্ঞেস করা হয়নি।’ বাকি দু’জনের বয়ানের সঙ্গে তাপস মণ্ডলের বক্তব্য মিলিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারী অফিসারেরা।
Anubrata Mondal : অনুব্রতকে জেরায় আসানসোল সংশোধনাগারে ED, নজরে কেষ্টর ‘বিপুল সম্পত্তি’ এর আগে সাংবাদিকদের কাছে তাপস জানান, অনলাইনে ভর্তির উইন্ডো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অফলাইনে ডিএলএড কলেজগুলিতে ভর্তির সময়ে ৩০০ টাকা অ্যাডমিশন ফি-র পাশাপাশি লেট ফি হিসেবে ৪৭০০ টাকা ছাত্র পিছু নেওয়া হতো। ইডি জানতে চাইছে, ওই টাকার অঙ্ক কী ভাবে স্থির হলো এবং টাকা কোনও রসিদ বা ভাউচারের বিনিময়ে দেওয়া হয়েছিল কি না।