Jyoti Basu : নতুন করে সাজছে জ্যোতিবাবুর বাড়ি – west bengal former chief minister jyoti basu house indira bhavan renovation work will start soon


তাপস প্রামাণিক
এক সময়ে বাড়িটিতে থাকতেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে নানা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের তাবড় রাজনৈতিক নেতা ও বিদেশি অতিথিদের আনাগোনা লেগেই থাকত। ২০১০-এ প্রয়াত হন জ্যোতি বসু। তাঁর অসুস্থতার সময়ে ওই বাড়িতেই দেখা করতে গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সল্টলেকের সেই ইন্দিরা ভবন হেরিটেজ তকমা পেয়েছে আগেই। তবে জ্যোতি বসুর মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে কৌলীন্য হারিয়েছে ইন্দিরা ভবন। বর্তমানে সরকারি অতিথি নিবাস হিসেবে ব্যবহৃত হয় ভবনটি। বহু ইতিহাসের সাক্ষী ওই ভবনকে এ বার নতুন করে সাজিয়ে তুলতে উদ্যোগী রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর।ইন্দিরা ভবনের নান্দনিক সৌন্দর্য বাড়াতে কোনও পেশাদার এজেন্সিকে দায়িত্ব দিতে চলেছে রাজ্য। রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ইন্দিরা ভবন একটি ঐতিহাসিক ভবন। আপাতত সেটিকে আমরা সরকারি গেস্ট হাউস হিসেবে ব্যবহার করছি। ভবনটিকে আরও সুন্দর করে সাজানো হবে।’

C V Ananda Bose : মমতার মাথায় বোস, বিরোধ কি কমবে?
প্রাথমিক পরিকল্পনা, গোটা ভবনেরই সংস্কার হবে। আরও বেশি অতিথি যাতে থাকতে পারেন, সে জন্য নতুন একটি বিল্ডিং তৈরি হবে। ইন্দিরা ভবনের চৌহদ্দিতে অনেকটা ফাঁকা জমি রয়েছে। সেখানেই হবে নতুন বিল্ডিং। পুরোনো বাড়িটিকে অক্ষত রেখে সংস্কারের কাজ হবে। নতুন রিসেপশন কক্ষ তৈরি থেকে জল সরবরাহ এবং নিকাশি ব্যবস্থার আমূল সংস্কার হবে। থাকবে গ্রাউন্ড ওয়াটার রিচার্জিংয়ের বন্দোবস্ত, আধুনিক কার পার্কিং ব্যবস্থা। চত্বরজুড়ে বাড়বে সবুজের সমারোহ। নানা ধরনের বাহারি ফুল, ফলের গাছ লাগানো হবে।পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের আধিকারিকরা জানান, ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে ইন্দিরা ভবনকে আরও ঝাঁ চকচকে করে তোলা হবে। যাতে প্রয়োজনে কোনও ভিআইপি পাকাপাকি ভাবে থাকতে পারেন। ভিআইপিদের বসবাসের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট প্রোটোকল আছে। বিশেষ করে মাথায় রাখতে হয় তাঁদের সুরক্ষার বিষয়টি। ইন্দিরা ভবনও নতুন করে সাজানো হবে সে কথা মাথা রেখে।

CV Ananda Bose : মমতায় শ্রদ্ধা আনন্দ বোসের, মানতে চান রাজ্যের পরামর্শ
বর্তমানে যে জায়গায় ভবনটি অবস্থিত, সেখানে এক সময়ে একচালা ‘কটেজ’ ছিল। ১৯৭২-এর ২৬ ডিসেম্বর তার দ্বারোদ্ঘাটন করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সে বছর কলকাতায় এআইসিসি-র ৭৪তম অধিবেশন বসেছিল। তখন ওই কটেজে সাত দিন ছিলেন ইন্দিরা। পরে সেই কটেজই সরকারি অতিথি নিবাসের মর্যাদা পায়। এই সূত্রেই বাড়িটির নাম হয় ইন্দিরা ভবন।

West Bengal Government : দুই ডেপুটি মেয়র, আইন সংশোধনের পথে সরকার
১৯৭৭-এ বামেরা ক্ষমতায় আসার পর মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসু থাকতেন হিন্দুস্থান পার্কে। ১৯৮৯-এর অগস্ট থেকে তাঁর ঠিকানা হয় ইন্দিরা ভবন। তার পর টানা দু’দশক তিনি সেখানেই কাটিয়েছেন। ২০১০-এর ১৭ জানুয়ারি জ্যোতি বসুর মৃত্যুর পর ইন্দিরা ভবন ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএম। সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সমস্ত জিনিসপত্র। পরে সেখানে চারটি বিচার বিভাগীয় কমিশনের অস্থায়ী অফিস বানানো হয়। সেই কমিশনগুলির কাজ শেষ হওয়ার পর, ২০২০ থেকে ইন্দিরা ভবন ব্যবহৃত হচ্ছে সরকারি অতিথি নিবাস হিসেবে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *