বিতর্কের সূত্রপাত কিছু ভাইরাল ছবিকে কেন্দ্র করে। এই গাড়ি চালক কৃষ্ণের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন চন্দনা বাউড়ি, অভিযোগ উঠেছিল এমনটাই। যদিও সেই যাবতীয় অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছিলেন চন্দনা স্বয়ং। তিনি বলেছিলেন, “আমি বিধায়ক। আমার উপর হিংসে করে বিরোধীরা এসব রটাচ্ছে। যে সব তথ্য আমার বিষয়ে রটানো হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। শালতোড়ার মানুষের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকব। এলাকাবাসীর কাছে অনুরোধ, এই ধরনের কুৎসায় কান দেবেন না।” এদিকে এই বিতর্ক চলাকালীন একাধিকবার মুখ খুলেছিলেন রুম্পা কুণ্ডু। তিনি মাঝে দাবি করেছিলেন, তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন।
বাঁকুড়ায় যখন এত বড় সভার আয়োজন চলছে তখন কোথায় সেই একাকালীন ‘BJP-ই জান’ বলে দাবি করা কৃষ্ণ? তাঁর স্ত্রী রুম্পা কুণ্ডু বৃহস্পতিবার বলেন, “আমি এবং আমার স্বামী এখন কোনও পার্টি করি না। রাজনীতি থেকে সরিয়ে রেখেছি নিজেদের।” একইসঙ্গে চন্দনার বিরুদ্ধে কটাক্ষ টেনে বলেন, “চন্দনা বাউড়ি তো পার্টি করছেন। আমাদের আর কি করা দরকার!”
তাঁর দাবি, “কৃষ্ণ এখন রোগীদের হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছে। কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আমরা আর যুক্ত নই। কোনও মিটিং-মিছিলেও যাই না। সংসার সামলাতে চাইছি। আমার দুই সন্তান রয়েছে। তাঁদের মানুষ করার চেষ্টা করছি।” বিতর্ক চলাকালীন মদে আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন কৃষ্ণ। এমনকী, হাসপাতালেও ভর্তি করতে হয়েছিল তাঁকে। শারীরিকভাবেও অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এখন কেমন আছেন? কৃষ্ণ-পত্নী বলেন, “ও এখন আমার স্বামী অনেক ভালো রয়েছে। মদ্যপান ছেড়ে দিয়েছে। কাজ করে। বাড়িতেই থাকে।” এই বিতর্কের পর রাজনীতি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন কৃষ্ণ, জানা গিয়েছে এমনটাই।
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।