
বুধবার ‘গ্রাম জাগাও-বাংলা বাঁচাও’ কর্মসূচিতে পশ্চিম বর্ধমান (Paschim Bardhaman) জেলার লাউদোহায় উপস্থিত ছিলেন CPIM নেত্রীমীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এদিনের সভা থেকে ফের একবার পুলিশ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পুলিশ প্রশাসনকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এঁরা যদি ঠিক থাকে, তাহলে একটা সরকার বা রাজনৈতিক দলের দম থাকে না, চুরি জোচ্চুরি করার। এঁরা ঠিক নেই বলে আজকে এই অবস্থা। এঁরা কোনও নীতির কাছে আপোষ করে নিচ্ছে। এঁরা কারো সামনে মাথা নামিয়ে হচ্ছে। আমাদের দেশে, রাজ্যে এমন কোনও পলিসি তৈরি হচ্ছে, এঁরা মাথা নামাতে বাধ্য।
সামনেই ত্রিস্ত্ররীয় পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে জেলায় জেলায় ‘গ্রাম জাগাও-বাংলা বাঁচাও’ কর্মসূচি নিয়েছেন রাজ্যের বাম শিবির। সেই কর্মসূচির আয়োজন করা হয় এদিন পশ্চিম বর্ধমান জেলার লাউদোহায়। আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে যাতে বিরোধীরা নমিনেশন করতে পারে, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্যেও পুলিশকে হুঁশিয়ারি দেন মীনাক্ষী। এদিনের সভা থেকে মীনাক্ষী বলেন, “কর্পোরেশনের ভোট লুঠ হয়ে গেল। পঞ্চায়েতের সময় ভোট ছেড়ে দিন, নমিনেশন পর্যন্ত করতে দেয় না। যে পুলিশ কাল পর্যন্ত ঠিক করছিল, আমাদের মিটিং করার পারমিশন দেবে কিনা, সেই পুলিশের দম থাকে না, নির্বাচনের সময় মাথা উঁচু করে গুণ্ডাদের মুখোমুখি হয়ে দাঁড়ানোর।”
প্রসঙ্গত, এর আগেও ধর্মতলায় বামেদের ইনসাফ সভা নিয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিতে দেখা যায় বাম যুব নেত্রীকে। গত ১৫ সেপ্টেম্বর কলকাতা পুরসভা অভিযানের পর ২০ সেপ্টেম্বর ধর্মতলায় ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদ সহ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে ‘ইনসাফ সভা’ আয়োজন করে বামেরা। পুলিশ যাতে কোনওভাবেই সভা ‘বানচাল’এর চেষ্টা না করে তার জন্য আগে থেকেই বার্তা দিয়ে রাখেন DYFI-র রাজ্য সম্পাদিকা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “পুলিশ তো রাজ্যের পুলিশ। আমরা অবশ্যই এটা চাইব, তাঁরা আইন মেনে কাজ করুক। আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার একটা সভা করা, সেই কাজে ওঁরা আমাদেরকে সাহায্য করুক এটা আমরা আশা করি।”