অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, ১২ সদস্যের সর্বদল টিম দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট অন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের কাছে যাবে। সর্বদল টিম পাঠানোর প্রস্তাবকে সমর্থন করলেও শেষ পর্যন্ত বিজেপির বিধায়করা এই টিমে থাকবেন কি না, তা সরকারপক্ষ কী দাবিসনদ তৈরি করছে, তা দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে শুভেন্দু জানিয়েছেন। বিধানসভার প্রেস কর্নারে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘লিখিত প্রস্তাব এলে তা খতিয়ে দেখে সরকারকে আমরা সিদ্ধান্ত জানাব। কিন্তু আমরা দেখেছি, কেন্দ্র যে ১১ লক্ষ বাড়ি দেওয়ার কথা বলেছে, সেখানে তৃণমূল প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা না-বলে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে শুধু আবাস যোজনা বলে প্রচার করছে। রাজ্য গত এক-দেড় মাসে জনজীবন মিশন, সমগ্র শিক্ষা মিশন, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা পেয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এক বারও ধন্যবাদ জানাননি।’
বিধানসভায় গত শুক্রবার সংবিধান দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনাতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের দাবি নিয়ে সর্বদল টিম দিল্লিতে পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। মমতার সেই কথার সূত্রেই এ দিন শোভনদেব প্রস্তাব পেশ করে বলেন, ‘ফরাক্কা ব্যারাজের মাধ্যমে গঙ্গা ভাঙন মোকাবিলায় কেন্দ্র অর্থ বরাদ্দ করুক, ঘটাল-কান্দি মাস্টার প্ল্যান ও সুন্দরবনের জন্যে অর্থ বরাদ্দ করা হোক। এই দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী-সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীদের কাছে সর্বদল টিম পাঠানো হোক। বামফ্রন্টের আমলেও এমন টিম দিল্লিতে গিয়েছে।’ এই প্রস্তাবের সঙ্গে যোগ করে পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘রাজ্যের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি অনেক দিন কেন্দ্রের কাছে পড়ে রয়েছে। এই সর্বদল টিম সেই বিষয়েও দিল্লিতে কথা বলুক।’ অধ্যক্ষ যে ১২ সদস্যর টিমের কথা বলেছেন তাতে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক থাকবেন।
তৃণমূলের সাত বিধায়ক এবং বিজেপির পাঁচ জন বিধায়ককে রাখার প্রস্তাব দিয়েছেন অধ্যক্ষ। রাজ্যের প্রবীণ মন্ত্রী মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘দিল্লিতে টিম পাঠানোর এটাই উপযুক্ত সময়। রাজ্যের মানুষের সুবিধা হবে।’ সরকারের দাবিসনদ দেখে সিদ্ধান্ত গ্রহণের কথা শুভেন্দু বললেও সর্বদল টিমে বিজেপি বিধায়কদের অংশগ্রহণের সম্ভবনা কম বলেই অবশ্য গেরুয়া শিবিরের একাংশের বক্তব্য।