হিন্দমোটর নিউ স্টেশন রোড সুৃমঙ্গল রিজেন্সি আবাসনের দোতলার বাসিন্দা রাজেস ধনধনিয়া। তাঁর আবাসনে আজ, বুধবার সকাল ছটা নাগাদ ইনকাম ট্যাক্সের তিনটে গাড়ি করে নয় জন আধিকারিক আসেন। বেশ কিছুক্ষণ পর দুটি গাড়ি বেরিয়ে যায় এবং একটি প্রিন্টার মেশিন নিয়ে ফিরে আসে। সূত্রের খবর, ফ্লাটে তথ্য তালাশ করছেন আই টি আধিকারিকরা। সকাল ছয়টা থেকে দুপুর দুটো পর্যন্ত প্রায় ৮ ঘন্টা হয়ে গেলেও এখনও তাঁরা তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, প্রথমে ৬ জনের একটি প্রতিনিধি দল আসে। পরে আরও তিনজন সেই দলে যোগ দেন। কিছু সময় পর দু’জন বেরিয়ে গেলে পরে আরো একজন আসেন। তবে কী কারণে এই তল্লাশি তা এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। রাজেশ ধনধনিয়া নামে ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে এই তল্লাশি চলছে। শেয়ার মার্কেট এবং একাধিক বাণিজ্যিক সংস্থার কর্ণধার তিনি। স্থানীয় সূত্রে খবর, শুধুমাত্র ইনকাম ট্যাক্স এর আধিকারিকরা এলে তবেই আবাসনের মূল গেট খোলা হচ্ছে না হলে গেটের তালা বন্ধ করে রাখা হচ্ছে ।
আয়কর বিভাগের তল্লাশি অভিযানের ঘটনায় চাঞ্চল্য চড়িয়েছে ওই আবাসন চত্বরে। স্থানীয় এক বাসিন্দা তপন দাশগুপ্ত বলেন, চারিদিকে যা ঘটনা ঘটছে, সেটা কিছু বলার নেই। এখন যা দু’নম্বরই ব্যবসা হয়েছে। তার উপর সরকার মদত দিচ্ছে। তবে ওই আবাসনে আগে এরকম কোনও ঘটনা ঘটেনি এখানে। আয়কর বিভাগের তল্লাশি অভিযান নিয়ে কটাক্ষ করেছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও। শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপির নেতা পঙ্কজ রায় বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দাদের থেকে জানতে পারি এলাকায় ইনকাম ট্যাক্স এর একটি রেড চলছে। গোটা পশ্চিমবাংলা জুড়ে এটাই চলছে। সিবিআই, ইডি, ইনকাম ট্যাক্স সব জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের যা পরিস্থিতি কেন্দ্রীয় সরকারকে দিয়ে এই সংস্থা গুলি চালাতে হবে, না হলে সাধারণ মানুষ মরে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যেই অনেক কিছুই পশ্চিমবাংলায় হবে। যা পরিস্থিতি তাতে আর রাজ্য পুলিশ সামলাতে পারছে না।”