৩০ ঘণ্টা ম্যারাথন তল্লাশির পর বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা নাগাদ হিন্দমোটরের ব্যবসায়ী রাজেশ ধনধনিয়াকে নিয়ে কলকাতায় (Kolkata) রওনা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা (Income Tax Department)। তিনটে গাড়িতে করে নয় জন আধিকারিক পৌঁছে গিয়েছিলেন সেখানে। তারপর দুটি গাড়ি বেরিয়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে প্রিন্টার নিয়ে হাজির হয়। এরপর রাত গড়িয়ে সকাল পর্যন্ত চলে তল্লাশি।

হাইলাইটস
- বৃহস্পতিবার সকাল 11টা নাগাদ হিন্দমোটরের ব্যবসায়ী রাজেশ ধনধনিয়াকে নিয়ে কলকাতায় রওনা আয়কর দফতরের
- টানা 30 ঘণ্টা ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর
- আবাসনের সামনে আয়কর দফতরকে দেখতে পেয়ে সেখানে ভিড় জমিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা
হিন্দমোটরে আয়কর দফতর
হিন্দমোটর নিউ স্টেশন রোড সুমঙ্গল রিজেন্সি আবাসনের দোতলার বাসিন্দা রাজেশ ধনধনিয়া। তাঁর ফ্ল্যাটে বুধবার সকাল ছটা নাগাদ আয়কর দফতরের তিনটে গাড়ি করে নয় জন আধিকারিক পৌঁছন। সূত্রের খবর, তারপরই ওই ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান শুরু করে আয়কর দফতর। স্থানীয় এক বাসিন্দারা এই ঘটনায় হতবাক। স্থানীয় দেশবন্ধু পার্কে আয়কর দফতরের তিনটি সাদা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কী কারণে তল্লাশি এবিষয়ে যদিও মুখ খুলতে চাননি আয়কর দফতরের আধিকারিকরা। সূত্রের খবর রাজেশ ধনধনিয়ার একাধিক সংস্থার ডিইরেক্টর হিসাবে নাম রয়েছে বলে জানতে পারে আয়কর দফতর। তারপরই তাঁর ফ্ল্যাটে অভিযান চালানো হয়। এ প্রসঙ্গে এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “স্থানীয় বাসিন্দা গৌতম সাহা বলেন, “কেউ কারও খোঁজ রাখে না। সবাই নিজেদের কাজে ব্যস্ত। তাই কে কী করছে জানা যায় না।”
৩০ ঘণ্টা টানা তল্লাশি
ইডি-সিবিআই তল্লাশি অভিযান এখন রাজ্যের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত বিষয়। দুর্নীতির উৎস খুঁজতে যখন তখন এখানে ওখানে হানা দিচ্ছেন ইডি বা সিবিআই আধিকারিকরা। তাই ব্যবসায়ীর বাড়িতে আয়কর হানায় কৌতূহল বাড়ছে এলাকায়। আয়কর দফতর ওই আবাসনে পৌঁছতেই সেখানে ভিড় জমিয়ে দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ৩০ ঘণ্টা টানা তল্লাশি চালানোর পর শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ ওই ব্যবসায়ীকে নিয়ে কলকাতা রওনা দেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।
সম্প্রতি কোচবিহারের (Cooch Behar) মেখলিগঞ্জ থেকে বাংলাদেশি ২৭ লাখ টাকা সমেত এক ভারতীয় ব্যক্তিকে আটক করল কুচলিবাড়ি থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, ওই ব্যক্তিকে আটক করার হয়েছিল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ওই ব্যক্তির বাড়ি ১০৮ ছোট কুচলিবাড়িতে। পুলিশ গোটা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে। তবে ওই টাকা গুলি চ্যাংব্যান্ধার টাকা এক্সচেঞ্জ করার যে কাউন্টার রয়েছে, সেখান থেকে নিয়ে এসেছিলেন বলে দাবি করেছেন ওই ব্যক্তি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ (Police)।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ