ইকোপার্কে (Eco Park, New Town) প্রার্তভ্রমণে এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা ও ভিডিয়ো বার্তা নিয়ে প্রতিক্রিয়ায় নিস্পৃহ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ”আগেও হুঙ্কার দিয়েছেন। কিছু যায় আসে না। উনি আমাদের নেতার বাড়ির সামনে সভা করছেন। অনুমতি আছে কিনা জানি না। পুলিশ এদিকে সুরক্ষা দিচ্ছে। আর আমরা আদালতের অনুমতি নিয়ে সভা করছি, সেখানে গা জোয়ারি করা হচ্ছে। মানুষ সব দেখছে।”
একইদিনে ডায়মন্ডহারবারে সভা করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভায় বাধা সৃষ্টি করা হতে পারে বলে আশঙ্কা দিলীপের। একইসঙ্গে কোনও বাধা এলে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করে হবে বলে হুঁশিয়ারি BJP সর্বভারতীয় সহ সভাপতির । তিনি বলেন, ”কর্মীদের আটকানো হবে। বাধা দেওয়া হবে। রাস্তায় মারা হবে। ভয় দেখান হবে। এ পরিস্থিতি মেনে নিয়েই আমরা রাজনীতি করি। এই গুন্ডামির বিরুদ্ধে BJP রুখে দাঁড়িয়েছে বলেই মানুষ BJPর পাশে আছে। আমি নিজে এই অবস্থায় সভা করেছি। বিরোধী দলনেতা ক্যাবিনেট পর্যায়ের নেতা। তার সুরক্ষা যদি রাজ্য পুলিশ দিতে না পারে তাহলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিত।”
শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি আটকানো নিয়েও সরব হন দিলীপ ঘোষ। বলেন, ”বিরোধী দলনেতাকে পুলিশ দিয়ে আটকানোর চেষ্টা চলছে। যে দলের লোকেরা আইন মানে না। যে দলের নেতারা বেআইনিভাবে লালবাতি ব্যবহার করে, তারা বিরোধী দলনেতার নাকি জরিমানা করে দিচ্ছে। সারা দেশ ও দুনিয়া দেখছে এখানে কী চলছে।”
রাজ্যে মুর্হূমুহু বোমা বিস্ফোরণ ও উদ্ধারের ঘটনায় কটাক্ষ BJP নেতার। বিশেষত ভূপতিনগরে তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনা প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য, ”যেখানেই তাকাই হয় তৃণমূল নেতার বাড়িতে বিস্ফোরণ। অথবা বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমল নেতার নাম। তারাই প্রধান, তারাই পঞ্চায়েত, তারাই বিধায়ক। তারাই সমাজবিরোধী। এদের থেকে এর বেশি কিছু আশা করা যায় না।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবরের জন্য ক্লিক করুন। প্রতি মুহূর্তে খবরের আপডেটের জন্য চোখ রাখুন এই সময় ডিজিটালে।