পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেক্টর ফাইভের ইকো স্টেশন বিল্ডিংয়ে একটি কল সেন্টার চালু হয়েছিল৷ এই ১৭ জন মিলে সেটি পরিচালনা করত৷ কল সেন্টারটি ভুয়ো ছিল বলেও তদন্তে নেমে জানতে পারেন পুলিশ আধিকারিকরা৷ অভিযুক্তরা আসলে কল সেন্টার (Fake Call Centre) খুলে তার আড়ালেই প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিল বলেই দাবি পুলিশের৷ আরও জানা গিয়েছে, সেখান থেকে বিভিন্ন চাকরির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞাপন দিত তারা। এরপর সেখান থেকে চাকরিতে আগ্রহী প্রার্থীদের তালিকা তৈরি করা হত। তাঁদের ফোন করে বিভিন্ন বেসরকারি মাধম্যে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
এই তথ্য পেয়ে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পক্ষ থেকে সোমবার সেই ‘ভুয়ো’ কল সেন্টারে (Fake Call Centre) হানা দেওয়া হয়৷ সেখান থেকে ন’জন মহিলা সহ ১৭ জনকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ (Bidhannagar Cyber Crime Police)। তাদের থেকে দু’টি কম্পিউটার, দু’টি হার্ড ডিস্ক, ১৯টি কিপ্যাড ফোন, ১৮টি স্মার্ট ফোন সহ একাধিক নথি উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার অভিযুক্তদের বিধাননগর আদালতে (Bidhannagar Court) পেশ করে এই সংস্থার ডিরেক্টর সহ পাঁচজনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
ধৃতদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত করতে চাইছে পুলিশ৷ পুলিশ সূত্রে খবর, এদের জেরা করেই পুলিশ জানতে চাইছে এই প্রতারণার জাল কত দূর বিস্তার করেছে অভিযুক্তরা৷ এই ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ বা কারা জড়িত আছে কিনা, তাও তদন্তে নেমে জানতে চাইছে পুলিশ৷ চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা করে অভিযুক্তরা কাদের থেকে টাকা হাতিয়েছিল এবং তার পরিমাণও তদন্তে নেমে খতিয়ে দেখছেন বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার (Bidhannagar Cyber Crime Police) আধিকারিকরা৷ ধৃতরা ঠিক কীভাবে প্রতারণার জাল বিস্তার করেছিল, তাও বিস্তারিতভাবে জানার চেষ্টা করছে পুলিশ৷