তনুময় ঘোষাল: খোদ দলনেত্রী টের পাননি কিছুই। বরং তখন শুভেন্দুর প্রতিই অগাধ আস্থা রেখেছিলেন তিনি। তৎকালীন যুব সভাপতি আনিসুর রহমান অধিকারী বাড়ির বড় ছেলেকে বাদ দিয়েই পূর্ব মেদিনীপুরে সংগঠন গড়ে তোলার প্রস্তাব দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কবে? ২০১৪ সালে। রাজি হননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শিয়রে পঞ্চায়েত। জেলায় জেলায় দলের সংগঠন মজবুত করতে আসরে নেমেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাদ নেই পূর্ব মেদিনীপুরও। শনিবার কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়ির অদূরেই সভা করেছেন তিনি। সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘জেলার ১৬ বিধানসভার মধ্যে ৯টিতে জিতেছে তৃণমূল। পূর্ব মেদিনীপুর কী করে অধিকারী গড়’? অভিষেক বলেন, ‘মিউনিসিপ্যালটিতে যে ক’টা নির্বাচন হয়েছে। সম্ভবত হলদিয়া আর পাঁশকুড়া বাকি আছে। তমলুক, এগরা, কাঁথি, তিনটেই তৃণমূল জিতেছে। বিধানসভায় ১৬টি আসনের মধ্যে ৯টিতে জিতেছে তৃণমূল। তাহলে অধিকারী গড় হয় কী করে? এটা তৃণমূলের গড়’!
আরও পড়ুন: Weather Today: ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হল মান্দাস, বাংলায় বাড়ল শীতের আমেজ
একুশের নির্বাচনের আগে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। কিন্তু যখন তৃণমূলে ছিলেন, তখনও কি পূর্ব মেদিনীপুরে অপরিহার্য ছিলেন শুভেন্দু? প্রশ্ন উঠেছিল ২০১৪ সালেই! সেবছরই তৃণমূলের যুব সভাপতি নির্বাচিত হন আনিসুর রহমান। পূর্ব মেদিনীপুরে শুভেন্দু ছাড়়াই সভা করে নিজের শক্তি প্রদর্শন করেছিলেন তিনি। এমনকী, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিশিরপুত্রকে ছাড়াই জেলায় সংগঠন করে তুলতে প্রস্তুত দলের কর্মীরা। কিন্তু প্রস্তাবে আমল দেয়নি দলের রাজ্য নেতৃত্ব। অথচ এখন সেই পথে হাঁটতে হচ্ছে তৃণমূলকে!
২০২০ সালে ১৯ ডিসেম্বর। মেদিনীপুর কলেজ মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু। তাঁর হাতে পদ্মপতাকা তুলে দেন অমিত শাহ। সেই সভায় শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘আমার বড় ভাই, আমার দাদা দেশের গৌরব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ২০১৯ সালে নির্বাচনে জেতার পর যশস্বী প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে যা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পূরণ করেছেন। ২০১৪ সালে নির্বাচনে দলকে উত্তরপ্রদেশে বিশাল জয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। অশোক রোডে পুরনো পার্টি অফিসের ছোট্ট ঘরে দর্শন দেন তিনি। সুযোগ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন রাজ্যের পর্যবেক্ষক সিদ্ধার্থনাথ সিং’।