এদিন একটি ভিডিয়োতে (অডিও ক্লিপ সত্যটা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) KLO প্রধান জীবন সিংয়কে বলতে শোনা যায়, “১৯৪৯ সালের ২৮ আগস্ট মার্জার এগ্রিমেন্ট অনুযায়ী গ্রেটার কোচবিহার (Cooch Behar) বা কামতাপুর রাজ্য ভারত ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুর রাজ্য গঠনের উদ্যোগ নিয়েছেন। তার জন্য নরেন্দ্র মোদি ও ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আজকে গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুরের মানুষ আশাবাদী যে ডিসেম্বর মাসের মধ্যেই গ্রেটার কোচবিহার বা কামতাপুর রাজ্য গঠন হবে।” তবে এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার কোনওরকম বিরোধিতা না করার আহ্বান জানান তিনি। KLO প্রধান জীবন সিংয়কে বলতে শোনা যায়, “মমতা দিদির নেতৃত্ব এক্ষেত্রে সহযোগিতার হাত বাড়াবেন। এই প্রার্থনা করি।” KLO চিফ জীবন সিংহের এই ভিডিয়ো ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। যদিও এসব কথা ‘গুরুত্বহীন’ বলে মন্তব্য করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha)। এদিন তিনি বলেন, “জঙ্গলে বসে এসব উল্টোপাল্টা কথার কোনও মানে হয় না।”
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে শিলিগুড়ি থেকে প্রাক্তন কেএলও (KLO) জঙ্গি মালখান সিংকে গ্রেফতার করে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ (STF)। সেই প্রসঙ্গ টেনে তখন রাজ্য প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দেন কেএলও (KLO) প্রধান। তাঁর একটি অডিও টেপ ভাইরাল হয় অডিও ক্লিপে (অডিও ক্লিপ সত্যটা যাচাই করেনি এই সময় ডিজিটাল) জীবন সিংহকে বলতে শোনা যায়, ‘কলকাতার পুলিশ এসে কামতাপুরের মানুষের ওপর অত্যাচার করছে। এর ফল ভুগতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে আসার পরই এই গ্রেফতারি হয়েছে, যা অনৈতিক। বাংলার অধীনতা কামতাপুরের জনগণ মানবে না কামতাপুরের জনগণ কলকাতার সরকারকে আগেও মানেনি। এখনও মানে না।”
গত সেপ্টেম্বর মাসে কোচবিহারকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করার দাবি করেছিলেন গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের (GCPA) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি অনন্তদেব বর্মার তথা অনন্ত মহারাজ। তাঁর দাবি, এখন শুধু কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার অপেক্ষা। শুধু ঘোষণাই নয় সেই রাজ্যের ক্ষমতা দেওয়া হবে তাঁদের হাতেই বলে দাবি অনন্ত মহারাজের। এবার সরাসরি তারিখ দিয়ে একই দাবি করল কেএলও। আগামী দিনে বিষয়টি নিয়ে কোচবিহার জুড়ে রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়বে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলে।