পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ উঠল কামারহাটিতে। এক তৃণমূল নেতাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে দলীয় এক কাউন্সিলরের ছেলের বিরুদ্ধে।

হাইলাইটস
- পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কামারহাটি
- তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের জেরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার অভিযোগ
- এক TMC নেতাকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ তৃণমূল কাউন্সিলেরর ছেলের বিরুদ্ধে
স্থানীয় সূত্রে খবর, রবিবার স্থানীয় একটি রক্তদান শিবিরের অনুষ্ঠান থেকে বাইকে করে বাড়ি ফিরছিলেন কামারহাটি (Kamarhati) তৃণমূল নেতা আলি রাজা। কামারহাটির পাঁচ মাথার মোড় পার করার পর স্থানীয় কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলে নওয়াজ সিকান্দার চপার দিয়ে আলি রাজার উপরে আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ। ধারালো চপার দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। আহত তৃণমূল নেতাকে বেলঘরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে কাউন্সিলরের ছেলে পলাতক। গোটা ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে বেলঘরিয়া থানার পুলিশ (Belgharia Police Station)।
আহত তৃণমূল নেতার স্ত্রীর অভিযোগ, “ওকে এক সপ্তাহ থেকে টার্গেট করা হয়েছিল। আগেও হুমকি দেওয়া হয়। এরপর রবিবার রাস্তায় তার উপর আক্রমণ করা হল। আমার স্বামী সমাজসেবা করে। ওর ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যাবে, ও কোনও কিছুর সঙ্গে যুক্ত নয়। তারপরেও ওকে হমকি দেওয়া হচ্ছিল। শেষ এক সপ্তাহ ধরে ওকে মারার হুমকি দেওয়া হয়। আমার স্বামীর পিছনে, পিঠে চপার দিয়ে আঘাত করেছে।” ঘটনটিকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বেলঘরিয়া থানার পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যদিও এই ঘটনায় সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আফসানা খাতুন। তিনি বলেন, “আমি ছিলামই না। শনিবার রাতে ইএসআই হাসপাতালে গিয়েছিলাম। আমার শরীরটা ভালো নয়। এরপর রবিবার সকাল থেকে আমি আর নীচেই যাইনি। কারা এভাবে ওর উপর হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। আমার ছেলের সঙ্গে কথাও বলেছিল হামলার আগে। আমরা কেউ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত নই।”
প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বর মাসেও স্থানীয় কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার অভিযোগ ওঠে। কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ এবং গুলি চলার অভিযোগ ওঠে। উভয়পক্ষেরই বেশ কয়েকজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে (Hospital) ভর্তি হয়। স্থানীদের অভিযোগ, কাউন্সিলর আফসানা খাতুনের ছেলে দলবল নিয়ে হামলা চালিয়েছিল। এদিকে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাউন্সিলর। তাঁর পালটা দাবি, তাঁর অনুগামীদের উপর হামলা চালায় তৃণমূলেরই অন্য এক গোষ্ঠী।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ