‘ছেলে স্বচ্ছতার সঙ্গেই চাকরি পেয়েছে’
এই তথ্য সামনে আসার পরেই রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ইছা সর্দার বলেন, “সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। আমাকে বদনাম করার চেষ্টা করছেন বিরোধীরা।” ছেলের চাকরি পাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “ও যোগ্য। RTI করার পর প্যানেলে নাম এসেছিল। ২০২০ সালের শেষের দিকে ও চাকরি পেয়েছে। আমি কোনও MLA বা MP-কে বলিনি যে ওর জন্য সুপারিশ করে দিন। বিষয়টি বিচারাধীন। এই নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না।”
আদালতের নির্দেশ প্রসঙ্গে এই তৃণমূল নেতা বলেন, “ওই তালিকায় নাম থাকা ২০ জন ইতিমধ্যেই আদালতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁরা বলছেন যে তাঁরা যোগ্য বলেই চাকরি পেয়েছেন। সকলে তো ‘ডাউটফুল’ হতে পারেন না।” অর্থাৎ ছেলে কোনওভাবেই অসৎ উপায়ে চাকরি পাননি বলেই দাবি করেছেন তিনি।
BJP-র তোপ…
এদিকে তালিকায় তৃণমূল নেতার ছেলের নাম দেখে রীতিমতো ফুসে উঠেছে BJP। বারাসত BJP-র সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, “আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার নিয়োগ ব্যবস্থাকে রসাতলে পাঠিয়েছে। ওই ব্যক্তিকে যারা সুপারিশ করেছিল তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে পদক্ষেপ করার কথা জানাচ্ছি। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।”
উল্লেখ্য, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সম্প্রতি স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) ৯৫২ জনের তালিকা প্রকাশ করে। অভিযোগ, OMR শিটের সঙ্গে তাঁদের প্রাপ্ত নম্বরের কোনও মিল নেই। এই তালিকায় সোনারপুর-রাজপুরের এক কাউন্সিলরের নাম রয়েছে বলেও সূত্রের খবর। এবার বারাসতের তৃণমূল নেতার ছেলের নাম থাকাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়েছে।
