অন্য দিকে, অবশেষে অচলাবস্থা কাটল জলদাপাড়ার। ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরবে কুনকি হাতিরা। টানা দু’দিন ধরে গায়ে পড়েনি জল। লোহার বেড়ি পায়ে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করায় ফুলেছে পা। মিলছে না তৃষ্ণার জল, চাল, ডাল ও গুড়ের মণ্ড। অবশ্য বুধবার গভীর রাতে বিভ্রান্ত হয়ে হলং সেন্ট্রাল পিলখানায় ফিরে এসেছে নিখোঁজ রঙ্গনি। টানা ২৪ ঘণ্টা অভুক্ত অবস্থায় থাকার পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বনকর্তাদের উদ্যোগে সারি সারি পিকআপ ভ্যানে প্রচুর কলাগাছ এনে ছুঁড়ে দেওয়া হচ্ছে জলদাপাড়ার কুনকিদের দিকে। তবে বিশিষ্ট হস্তি বিশারদ পার্বতী বরুয়া বলেন, ‘কলাগাছ দিয়ে হাতিদের সন্তুষ্ট রাখা যায় না। ওদের শরীরের চাহিদা অনুসারে, ঢাড্ডা, পুরুন্ডি, মালসা ও চেপ্টি ঘাস খাওয়াটা অত্যন্ত জরুরি।’ মাহুত সুকুমার কার্জি বলেন, ‘প্রতিদিন কুনকি হাতিদের ২ কিলো ডাল, ৪ কিলো চালের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে সেই মণ্ড দেওয়া হয়। টানা দুই ঘণ্টা ধরে শরীর ডুবিয়ে স্নান করানো হয়। হাঁটানো হয় বনপথে। যার সবটাই দু’দিন ধরে বন্ধ রয়েছে।
বেশি দিন এভাবে চলতে থাকলে একবার যদি হাতিরা খেপে ওঠে, তবে ওদের সামনে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’ শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে নিজেদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে নেন মাহুত, পাতাওয়ালরা। তাতে হাঁফ ছেড়ে বাঁচেন জলদাপাড়া বনবিভাগের বনকর্তারা। ডিএফও দীপক এম বলেন, ‘স্থায়ীকরণ নিয়ে কোনও কথা বলা আমার এক্তিয়ারের মধ্যে পড়ে না। তবে অস্থায়ী মাহুত, পাতাওয়ালা ও চুক্তিভিত্তিক বনকর্মীদের স্বার্থে রাজ্য সরকারের কাছে বেশ কিছু প্রস্তাব পাঠিয়েছি। আশা করছি, ওই প্রস্তাবগুলো পাশ হয়ে গেলে আন্দোলনকারীরা লাভবান হবেন।’