বুধবার উত্তম গোয়ালা নামের ওই যুবককে হাতেনাতে ধরেন স্থানীয় এক দোকানদার। তাঁকে কেরানিপাড়ার মাঠে গোলপোস্টের সঙ্গে বেঁধে মারধর করতে শুরু করে এলাকার সাধারণ মানুষ। তখনই স্থানীয় অভিজিৎ সরকার নামে এক সমাজসেবী সেখানে এসে ওই যুবককে রক্ষা করেন। তাঁকে জল খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেন। এরপরই কোতোয়ালি থানায় খবর দেওয়া হয়। কোতোয়ালি থানার পুলিশ এসে উত্তমকে নিয়ে যায়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ওই যুবক আগেও একাধিক চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল। চুরির কথা নিজেও স্বীকার করে নিয়েছে।
অভিযুক্ত উত্তম গোয়ালা বলেন, “আমাকে ছেড়ে দাও আমি বাড়ি চলে যাব। আমি একটা কার্টন চুরি করেছি। ভিতরে কী ছিল না। আমি ভুল করেছি, আর করব না কোনও দিন। আমার বাড়ি ফাটাপুকুরের। আমি আর কোনও দিন জলপাইগুড়ি আসব না আমার ভুল হয়েছে গিয়েছে।” স্থানীয় অভিজিৎ সরকার নামের সমাজসেবী বলেন, “এই মহান ব্যক্তি মাঝে মাঝে এখানে আসে আর চুরি করে। আগেও একাধিকবার দোকান থেকে কার্টন চুরি হয়েছে। ওকে মারধর করব জনতা এখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। আমি যদি এখানে না থাকি তবে বেঁচে ফিরতে পারবে না। আমি ওকে জল খাইয়েছি। প্রশাসনের আগে ওকে তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জনগণ ওকে বেঁধে রেখে। আমি চলে গেলে ও আর বাড়ি ফিরতে পারবে না।”
পশ্চিমবঙ্গের আরও খবর পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন… জলপাইগুড়ি জেলার খবর পাবেন এই লিঙ্কে। প্রতি মুহূর্তের লাইভ খবরের আপডেট পেতে ফলো করুন এই সময় ডিজিটাল।