প্রাণিকর্মীদের ‘সুরক্ষায়’ দায় রাজ্য সরকারের মন্তব্য করল হাইকোর্ট।
হাইলাইটস
- প্রাণিকর্মীদের ‘সুরক্ষায়’ রাজ্য সরকার হাত গুটিয়ে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করল হাইকোর্ট।
- আদালতের বক্তব্য, তাঁরা সরকারি কর্মসূচির আওতায় কাজ করেন।
- ১৩ জানুয়ারি থেকে ফের চতুর্থ পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে।
সৌমিত্রের আইনজীবী সোহম দে ধাড়া ও সায়ক চক্রবর্তী আদালতে আবেদন করেন, চলতি পরিস্থিতিতে প্রাণিকর্মীদের সুরক্ষার স্বার্থে এই টিকাকরণ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখা হোক। সৌমিত্রর আইনজীবীরা বিচারককে বলেন, ‘অভিযোগকারী তিনবার ব্রুসেলায় সংক্রমিত হয়েছেন। তিনি শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সমস্যার জেরে বাধ্য হয়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কর্তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন আত্মহত্যা করা ছাড়া তাঁর সামনে আর কোনও পথ খোলা থাকছে না।’ অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে আইনজীবী মানালি আলি জানান, এই প্রাণিকর্মীরা কেউই সরকারি চাকরি করেন না। তাঁরা ‘স্বনিযুক্ত’ বা ‘সেলফ এমপ্লয়েড’। তাঁদের ছ’মাসের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।
এদিন শুনানির পর জারি নির্দেশনামায় বিচারপতি ভট্টাচার্য অবশ্য বলেছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে আদালতের মত, যেহেতু আবেদনকারী ও তাঁর গোত্রের অন্য কর্মীরা সরকারি একটি দায়িত্ব পালনেই কাজ করছেন, সরকারও এ ক্ষেত্রে তার দায় এড়াতে পারে না। বিশেষ করে সুরক্ষা উপকরণের যথাযথ ব্যবস্থা সরকারকে করতেই হবে।’ সরকারি আইনজীবীর অনুরোধে মামলার শুনানি বিচারপতি আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী জানান, সে দিনই রাজ্য সরকার আবেদনকারী ও সমগোত্রীয় কর্মীদের জন্য সুরক্ষা পরিকাঠামো, অন্যান্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং কবের মধ্যে তা নেওয়া হবে, সেটা উচ্চ আদালতে জানাবে।
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ