প্রাণিকর্মীদের ‘সুরক্ষায়’ দায় রাজ্য সরকারের মন্তব্য করল হাইকোর্ট।

 

প্রাণিকর্মীদের সুরক্ষার দায় সরকারের: কোর্ট

হাইলাইটস

  • প্রাণিকর্মীদের ‘সুরক্ষায়’ রাজ্য সরকার হাত গুটিয়ে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করল হাইকোর্ট।
  • আদালতের বক্তব্য, তাঁরা সরকারি কর্মসূচির আওতায় কাজ করেন।
  • ১৩ জানুয়ারি থেকে ফের চতুর্থ পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে।
এই সময়: প্রাণিকর্মীদের ‘সুরক্ষায়’ রাজ্য সরকার হাত গুটিয়ে থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করল হাইকোর্ট। আদালতের বক্তব্য, তাঁরা সরকারি কর্মসূচির আওতায় কাজ করেন। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যর এজলাসে ব্রুসেলা টিকাকরণের সময়ে পশুবাহিত রোগে সংক্রমিত প্রাণিকর্মী সৌমিত্র মণ্ডল রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের করেছিলেন, তার শুনানি হয়। সৌমিত্র আদালতে জানিয়েছেন, উপযুক্ত প্রশিক্ষণ ও সুরক্ষা উপকরণ ছাড়াই রাজ্যজুড়ে প্রাণিকর্মীদের টিকাকরণ কর্মসূচিতে অংশ নিতে বাধ্য করেছিল সরকার। টিকাকরণের সময়ে ইঞ্জেকশনের সিরিঞ্জ ফুটে তাঁর মতো শয়ে শয়ে প্রাণিকর্মী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও রাজ্য সরকারের বিন্দুমাত্র হেলদোল ছিল না বলে সৌমিত্রর অভিযোগ। এমনকী কেউ কোনও ক্ষতিপূরণও পাননি। এরই মধ্যে ১৩ জানুয়ারি থেকে ফের চতুর্থ পর্যায়ের টিকাকরণ শুরু হতে চলেছে।

West Bengal Panchayat Election 2023 : নিউ টাউনের পঞ্চায়েতভুক্তির বিরোধিতায় কোর্টে নাগরিকরা
সৌমিত্রের আইনজীবী সোহম দে ধাড়া ও সায়ক চক্রবর্তী আদালতে আবেদন করেন, চলতি পরিস্থিতিতে প্রাণিকর্মীদের সুরক্ষার স্বার্থে এই টিকাকরণ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রাখা হোক। সৌমিত্রর আইনজীবীরা বিচারককে বলেন, ‘অভিযোগকারী তিনবার ব্রুসেলায় সংক্রমিত হয়েছেন। তিনি শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সমস্যার জেরে বাধ্য হয়ে প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কর্তাদের চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন আত্মহত্যা করা ছাড়া তাঁর সামনে আর কোনও পথ খোলা থাকছে না।’ অন্যদিকে, রাজ্যের তরফে আইনজীবী মানালি আলি জানান, এই প্রাণিকর্মীরা কেউই সরকারি চাকরি করেন না। তাঁরা ‘স্বনিযুক্ত’ বা ‘সেলফ এমপ্লয়েড’। তাঁদের ছ’মাসের প্রশিক্ষণও দেওয়া হয়েছিল বলে তিনি জানিয়েছেন।

Primary Recruitment Case: ১৪০ প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল, বেতন বন্ধের নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের
এদিন শুনানির পর জারি নির্দেশনামায় বিচারপতি ভট্টাচার্য অবশ্য বলেছেন, ‘প্রাথমিক ভাবে আদালতের মত, যেহেতু আবেদনকারী ও তাঁর গোত্রের অন্য কর্মীরা সরকারি একটি দায়িত্ব পালনেই কাজ করছেন, সরকারও এ ক্ষেত্রে তার দায় এড়াতে পারে না। বিশেষ করে সুরক্ষা উপকরণের যথাযথ ব্যবস্থা সরকারকে করতেই হবে।’ সরকারি আইনজীবীর অনুরোধে মামলার শুনানি বিচারপতি আগামী ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। সরকারি আইনজীবী জানান, সে দিনই রাজ্য সরকার আবেদনকারী ও সমগোত্রীয় কর্মীদের জন্য সুরক্ষা পরিকাঠামো, অন্যান্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং কবের মধ্যে তা নেওয়া হবে, সেটা উচ্চ আদালতে জানাবে।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version