Sampadakiyo

ভোট আসছে৷ নেতার দল বেড়িয়ে পড়েছে৷ চারদিকের প্রার্থী ঝাড়াই বাছাই চলছে৷ গ্রামে গঞ্জে সাজ সাজ রব৷ দলাদলি বাড়ছে৷ ঝান্ডা পরিষ্কার করার কাজ চলছে৷ গত পাঁচ বছরের কাজের খতিয়ান তুলে ধরা হচ্ছে৷ বাদী বিবাদী উভয়পক্ষই গা গরম করতে মাঠে নেমে পড়েছে৷ গ্রামের ছা পোষা জনগন অবাক  চোখে তাকিয়ে দেখছে৷ মাঠের গরুরাও হয়ত দেখছে৷ চারপাশে মন ভোলানো ‘খেলা হবে’ চলছে৷

          কোথায় খেলা হবে? পশ্চিমবঙ্গের ঘরে ঘরে খেলা হবে৷ পৌষপার্বণের পিঠে তৈরির প্রস্তুতির মতো, পাঁচ বছরের অত্যাচার, অনাচার, ব্যাভিচার, টাকা পাওয়া, খাবার পাওয়া, সুযোগ সুবিধে পাওয়া, অমুক সাথী, তমুক ভান্ডার, অমুক যোজনা, তমুক পাওনা সব কিলবিল করে গ্রামের মোরাম বেছানো রাস্তায় নেমে আসবে৷

          খেলা শেষ হলে, হিসেব নিকেশ করা হবে৷ কারা সুযোগ সুবিধে পেয়েছে, কারা পায়নি৷ কে কতটা পেয়েছে৷ গ্রামের ধানের জমি দেখছে, নীলাকাশ দেখছে৷ ছাগলেরা দেখছে৷ পুকুরের মাছেরাও দেখছে পঞ্চায়েত প্রধান, উপ-প্রধান কারা হবে? লুঠেরারা দেখছে৷ দলের মধ্যেই দলাদলি চলছে৷ টেবিল, চেয়ারগুলোও নজর রাখছে৷ মাঝে মধ্যে চেয়ার টেবিল ভাঙচুর ও হচ্ছে৷ পুরো সিস্টেমটাই ‘তোড়ায় বাঁধা ঘোড়ার ডিম’৷

    ভোট হয়ে যাবে৷ জনগণের প্রাপ্তি হবে শূণ্য৷  সদস্যদের বাড়ি একতলা থেকে দোতলা, দোতলা থেকে তিন-চার-পাঁচ তলা হবে৷ সম্পদের পরিমাণ বাড়তে বাড়তে আকাশচুম্বি হবে৷ আমতাড়া-জামতাড়া হবে৷ গরীব খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের ব্যাঙ্ক এ্যাকাউন্টে কালো টাকার বন্যা হবে৷ মরবে গরীব মানুষগুলো, জালিয়াতি কেসে আচ্ছা করে ফেঁসে৷ ‘‘নেতারা কখনোই দেশভক্ত হন না৷’’

এই সত্যটা সবার প্রথমে অবশ্যই জানা দরকার!

          

Exit mobile version