শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে দুর্গাপুর (Durgapur) ফরিদপুর ব্লকের লাউদোহার ফরিদপুর থানার পুলিশ হানা দেয় নাকড়াকোন্দা ঝাঁজরা কলোনির একটি ক্লাব ঘরে। ফরিদপুর থানার মেজোবাবু লাল্টু পাখিরার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল জুয়ার ঠেকে হানা দেয়। জুয়ার ঠেক থেকে গ্রেফতার করা হয় এলাকার এক পরিচিত কংগ্রেস (Congress Leader) নেতা সোমালি সাঁই সহ স্বপন বাউরি, চন্দু সূত্রধর, আকবর মিয়া ও সিমাই বাউরি এই চারজনকে। জুয়ার ঠেক থেকে উদ্ধার হয় নগদ ১ লক্ষ ২৬ হাজার ৩০০ টাকা। ধৃতদের শনিবার দুর্গাপুর (Durgapur) আদালতে তোলা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অবৈধ কয়লা ও বালি পাচারে লাগাম টানতেই খনি অঞ্চলে বাড়ছে মাদক ও জুয়ার কারবার। ইতিমধ্যেই আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের (Asansol Durgapur Police Commissionerate) তাৎপরতায় পাণ্ডবেশ্বর, লাউদোহা ও অন্ডাল এলাকায় ধরাও পড়েছে বেশ কিছু মাদক পাচারকারীর চক্র। সাফল্য মিললেও অভিযানে ঢিলে দিতে রাজি নয় পুলিশ। কোথাও না কোথাও রোজ চলছে ছোট বড় অভিযান। সন্দেহ হলেই চলছে জেরা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এভাবে অনেক মাদক ও জুয়া চক্রের পর্দা ফাঁস করা গিয়েছে।
জুয়ার ঠেকে কংগ্রেস (Congress) নেতার গ্রেফতারীতে গুঞ্জন ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে। পশ্চিম বর্ধমান জেলার কংগ্রেস নেতা তরুণ রায়ের মতে সোমালি সাঁই এক সময় ওই ব্লকের কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন। বহু বছর আগেই তিনি পার্টির কার্যকলাপ থেকে সরে গিয়েছেন। তিনি বলেন, “সোমালি সাঁই প্রদেশ কংগ্রেসের সদস্য ছিলেন ঠিকই। উনি ওই এলাকার ব্লক কংগ্রেস সভাপতিও ছিলেন একটা সময়। কিন্তু বহু বছর ধরেই তিনি পার্টি ছাড়া। নিচুতলার কর্মীদের সঙ্গে ওনার কোনও যোগাযোগও নেই। তাই এই গ্রেফতারী বিষয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।” ধৃত কংগ্রেস নেতা সোমালি সাঁইকে ফরিদপুর থানায় এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জুয়া খেলার বিষয়টি অস্বীকার করেন। জানান ওখানে পিকনিক করা হচ্ছিল, আর বাজেয়াপ্ত টাকা নাকি কাজের পেমেন্টের টাকা।