রবিবার এই ভোটের ফলে আত্মবিশ্বাসী বামেরা। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জুগিয়েছে তাদের। তবে এই ভোটকে আমল দিতে নারাজ তৃণমূল (Trinamool Congress) ও BJP। তাদের দাবি, এই ভোটকে সামনে রেখে পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ লাভ হবে না বামেদের। BJP এখানে কোনও প্রার্থী দিতে পারেনি। তৃণমূলের আবার দাবি, তাদের ভোটের শতাংশ বেড়েছে।
এই সমবায় সমিতিতে মোট আসন সংখ্যা ছিলো ৯টি। সবকটি আসনেই বামপন্থীরা প্রার্থী দেন এবং TMC-কে হারিয়ে বামপন্থী প্রার্থীরা জয় লাভ করেন। এখানে মোট ভোটার সংখ্যা হল ৮৬৫। ভোট দিয়েছেন ৭৩০ জন। রবিবার এই বিশাল জয়ের পর সোমবার সন্ধ্যায় লাল পতাকা ও আবির উড়িয়ে বিজয় উল্লাসে মাতেন বাম কর্মী সমর্থকরা। রীতিমতো তাসা ব্যান্ড পার্টি নিয়ে রাস্তায় উদযাপন করতে দেখা যায় তাঁদের। এক বাম সমর্থক জানান, “এই জয় বড় জয়। সব কটি আসনে প্রার্থী দিয়ে আমরা সব আসনেই জয়লাভ করেছি। প্রত্যেকেই বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন। বিরোধীরা পরাস্ত হয়েছে।”
অসংরক্ষিত আসনে ৬ জন, মহিলা সংরক্ষিত আসনে ২ জন, তফশিলি জাতি উপজাতি আসনে ১ জন জয়ী হয়েছেন। সূত্রের খবর, মহিলা সংরক্ষিত আসনে সবথেকে বেশি ভোট পেয়েছে বামেরা। যদিও এই ফলাফলকে গুরুত্ব দিতে নারাজ BJP। তাঁদের মতে, ওটা একটা ছোট সমবায় সমিতি। মুষ্টিমেয় কিছু লোকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। BJP নেতাদের কথায়, ওই সমবায় সমিতিটা বাম আমল থেকে বামপন্থী সমর্থকদের নিয়েই চলছে। স্বাভাবিকভাবে এই সমবায় সমিতির নির্বাচনকে গুরুত্ব দিতে চাইছে না গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে অনেকটা একই মত পোষণ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress)।
তাঁদের কথায়, এটা আসলে বহু বছর ধরে বামেদের হাতেই। সমবায়ের ভোট অন্যরকমই হয়। একই পরিবারের সদস্যরা ভোটার হয়ে থাকে। বাবা, মা, ছেলে, বৌমা সকলেই ওদের ভোটার। তাই তৃণমূলের ফল খারাপ হয়েছে বলে দাবি করছেন দলের নেতারা। তবে এ নিয়ে সমস্যার কিছু দেখছে না শাসক শিবির। তৃণমূলের অভিযোগ, এই সমবায় নির্বাচনেও CPIM ও BJP একসঙ্গে লড়াই করেছে। যদিও বাম বিরোধীদের কথাতে কান না দিয়ে বাম নেতারা এই জয় থেকে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের অক্সিজেন খুঁজে নিচ্ছেন।