শীতকালেও ইলিশের যোগান পদ্মায়, অন্যদিকে ইলিশের অভাবে হাহুতাশ রানিনগরের মৎসজীবীদের।

হাইলাইটস
- লালগোলার মৎস্যজীবীদের জালে উঠছে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ।
- অন্যদিকে কুমিরের ভয়ে জলে নামতে না পারায় হাত কামড়াচ্ছেন রানিনগরের মৎসজীবীরা।
- মৎস্য সংগ্রহ করতে না পেরে হতাশ রানিনগর, জলঙ্গির মৎস্যজীবীরা।
এ বছর শীতেও ইলিশের যোগান দিচ্ছে পদ্মা। অসময়ে পদ্মা মৎস্যজীবীদের উপহার দিচ্ছে লাল পেটের সোনালি ফসল। লালগোলার বাজার মো মো করছে ইলিশের গন্ধে। কারও সাইজ দেড় কেজি। কেউ দু’কেজি। আটশো থেকে এক কেজি সাইজের ইলিশও মিলছে প্রচুর। দাম সাইজ অনুপাতে আড়াই হাজার থেকে এক হাজার টাকা। লালগোলার মীনাবাজার যখন ইলিশের গন্ধে ভরপুর, তখন রানিনগর থানার শেখপাড়া মাছের বাজারে কার্যত মাছি তাড়াচ্ছেন মাছ ব্যবসায়ীরা। শেখপাড়া মাছ বাজারে পদ্মার মাছ কিনতে ইসলামপুর, বহরমপুর থেকেও অনেকে আসেন। এবার খাঁ খাঁ করছে বাজার। অথচ অসময়ে পদ্মা দিয়ে ভেসে যাচ্ছে ইলিশের ঝাঁক।
শীতের মরশুমে কার্যত পদ্মায় ইলিশের দেখা মেলে না। বর্ষায় ডিম ছাড়তেই ইলিশ মোহনা দিয়ে পদ্মা কিংবা গঙ্গার মিঠা জলে আসে। ফরাক্কা ব্যারেজে ধাক্কা খেয়ে ফের সমুদ্রমুখী হতে শুরু করে ইলিশ। ততদিনে ইলিশ ডিমও ছেড়ে দেয়। খোকা ইলিশও নোনা জলের খোঁজে পাড়ি দেয়। এবার কীভাবে ইলিশ পদ্মার উচ্চ অববাহিকায় তা নিয়ে চিন্তায় ফরাক্কা ইলিশ গবেষণাগারের বিজ্ঞানিরা। তবে কুয়াশার চাদরে মোড়া পদ্মায় ওঁত পেতে ইলিশ তুলছেন লালগোলার মৎস্যজীবারা। আর নিম্ন অববাহিকায় পাড়ে বসে হতাশা জলঙ্গি, রানিনগরের মৎস্যজীবীরা। কাহারপাড়ার মৎস্যজীবী জীবন হালদার বলেন, “কুমিরের ভয় তাড়া করে বেড়াচ্ছে বলে জলে নামতে পারছি না। আর এবার শীতেও পদ্মায় ইলিশের ঝাঁক। ধরতে না পেরে ভালই আফসোস হচ্ছে।”
আশপাশের শহরের খবর
Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ