রানু-পৌলমীকে ভাইরাল করার নেপথ্য নায়ক অতীন্দ্র
২০১৯ সালে রানাঘাটের স্টেশন থেকে তুলে বলিউড পর্যন্ত রানু মণ্ডলকে পৌঁছে দিয়েছিলেন এই অতীন্দ্র চক্রবর্তীই (Atindra Chakraborty)। ফের একবার পৌলমীকে তাঁর স্বপ্নের কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার পিছনেও সেই তিনিই। এই সময় ডিজিটালে নেপথ্যের কারিগর অতীন্দ্র বলেন, “যাদের মধ্যে সত্যিই টালেন্ট রয়েছে, যাদের কাছে কোনও মিডিয়া বা রাজনৈতিক দল যায়নি, তাঁরা অনেকেই অন্ধকারে থেকে গিয়েছেন। তাঁদের লাইমলাইটে নিয়ে আসা আমার কাছে একপ্রকার নেশা। অনেকেই প্রশ্ন করেন, আমি কেন এই ভিডিয়োগুলো করি। আসলে সোশাল মিডিয়ার যেমন খারাপ দিক রয়েছে, তেমন ভালো দিকও রয়েছে। যে মেয়েটা একদিন ভারতের হয়ে বিশ্বের মঞ্চে ফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করেছে, সে এখন অভাবের তাড়নায় জ্যোমাটোর ডেলিভারি করছে। এটা তো আমাদের কাছে লজ্জার। তাই এই ভিডিয়োটা তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গেই এতগুলো মানুষ তা জানতে পারল, এগিয়ে এল সাহায্যের জন্য। আমাদের রাজ্যের ক্রিড়ামন্ত্রী খোদ পৌলমীর সঙ্গে দেখা করলেন। এখানেই আমার স্বার্থকতা। আশা করি পৌলমীর যা প্রয়োজন, একটা চাকরি ও পাবে। আবার ফুটবল মাঠে ফিরে আসতে পারবে।”
পৌলমীর সাফল্যে অতীন্দ্রর কৃতিত্ব কতটা?
অতীন্দ্র চক্রবর্তী (Atindra Chakraborty) বলেন, “অনেককে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। আমার ভীষণ ভালো লাগে এই কাজগুলো করতে। যে মেয়েটা আমাকে তাঁর কষ্টের কথাগুলো বলেছিল, সাতদিনের মধ্যে তাঁর বাড়িতে এত সংবাদমাধ্যম পৌঁছে যাচ্ছে, ক্রিড়ামন্ত্রী তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছেন। একটা মানুষের জীবন বদলে যাচ্ছে, এটা আমার কাছে গর্বের। আমার নৈতিক জয়। পৌলমীকে আমার কাছে দুঃখ করে বলেছিল, মেয়েদের কেউ সম্মান করে না। পৌলমীকে (Poulomi Adhikary Footballer) ওঁর সম্মান ফিরিয়ে দিতে পেরে আমি গর্বিত।”
নেপথ্যে থেকে কি অতীন্দ্র উপেক্ষিত?
অতীন্দ্রর কথায়, “উপেক্ষিত হতে হয় বলে কষ্ট লাগে। কাজ করতে গেলে অনুপ্রেরণার দরকার হয়। আমায় যদি প্রশাসন আরও একটু সাহায্য করে, মানুষ যদি পাশে থাকে, তাহলে আগামীদিনে আরও অনেক পৌলমী-রানু মণ্ডলকে লাইমলাইটে নিয়ে আসার চেষ্টা করব। অনেকে আমার নাম উল্লেখ করেছে আবার অনেকে আমার নাম না উল্লেখ করে নিজেরা ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছে। আমি একজনের জীবন গড়ে দিতে চেয়েছি। আমি সরকারি চাকরি পাওয়ার জন্য এসব করি না। আমার খুঁজে বের করা এই মানুষগুলিকে নিয়ে এত মাতামাতি হচ্ছে দেখে আমি উচ্ছ্বসিত।”