রবিবার জিরাটে ধরনা মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন হুগলি লোকসভার সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee)। তৃণমূল যুব নেতার চর মারার ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেন BJP নেত্রী। তিনি বলেন, “চুরি করবে আবার চড়-থাপ্পর মারবে। চড় মারলে ধরে চার-পাঁচটা দিন। দিদির দূতরা অভিযোগ না শুনতে চাইলে ঘরে বেঁধে রাখুন। সরকার তাঁদের, পঞ্চায়েত তাঁদের জনগণের জন্য তারা কাজ করবে না? আবার অভিযোগ করতে এলে থাপ্পর মারা। আমি সামনে থাকলে তো চারটে থাপ্পর মারতাম।”
পালটা এ প্রসঙ্গে হুগলি শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা যুব সভানেত্রী রুনা খাতুন বলেন, “আমি শুনেছি মাননীয়া সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তিনি বারবারই একই ঘটনা ঘটান। তিনি বলেছেন দিদির দূতেরা দিদির ভূত। আসলে ভূত দেখলে কারা ভয় পায়। আমি খুব অবাক হলাম দিদির প্রকল্পগুলো তিনি মুখস্ত বলে দিলেন দিদির সুরক্ষা কবজ, দিদির দূত (Didir Doot), দিদিকে বলো সবই। অর্থাৎ বিজেপি শঙ্কিত এইসব উন্নয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে গেলে তারা বাংলা ছেড়ে পালানোর রাস্তা পাবে না।” তাঁর কথায়, দিদির দূত ছাত্র-যুব সবাই বাড়ি বাড়ি যাচ্ছে এলাকার মানুষ একশো শতাংশ পরিষেবা পেয়েছে কি না সেটা জানতে। বিক্ষোভ থাকলে সেটা জানাক, বিক্ষোভ শুনতেই তো তারা যাচ্ছে। বিক্ষোভ হতে পারে জেনেই আমাদের এই কর্মসূচি। আমরা চাই দিদির উন্নয়ন থেকে কোনও পরিবার যাতে বাদ না যায়। সেটা কোনও বিরোধী রাজনৈতিক পরিবার হলেও যেন পায়।
প্রসঙ্গত, গতকাল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের ইছাপুর-নীলগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাউবনা এলাকায় দিদির দূত (Didir Doot) কর্মসূচিতে যান মন্ত্রী রথীন ঘোষ। খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের সামনেই গ্রামের এক অভিযোগকারীকে সপাটে চড় কষান এক তৃণমূল কর্মী। খারাপ রাস্তা নিয়ে অভিযোগ জানাতে এলে মন্ত্রীর সামনেই অভিযোগকারীকে চড় মারেন ওই তৃণমূল কর্মী। পরে আক্রান্তের পিঠ চাপড়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন মন্ত্রী। দলীয় কর্মীর এমন আচরণে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়লেন মন্ত্রী! ব্যক্তিগত সমস্যার জেরে এই ঘটনা ঘটেছে বলে পরে সাফাই দেন মন্ত্রী রথীন ঘোষ।