জানা গিয়েছে, সাগর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা ব্যক্তির নাম গৌতম মুখোপাধ্যায়। তিনি মন্দির কমিটির সদস্য এবং নিজেকে এক সিপিএম কর্মী বলে দাবি করেছেন। তিনি অভিযোগে পুলিশকে জানিয়েছেন, সাগর বিশ্বাস শনিবার খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ যে কর্মসূচি নিয়ে নীলগঞ্জে এসেছিলেন তা বানচাল করার জন্যই গণ্ডগোল সৃষ্টি করে। এমনকী গালিগালাজও করেন বলে অভিযোগ। গৌতম মুখোপাধ্যায়ের দাবি, ”তিনি ওই গ্রামেরই বাসিন্দা এবং একজন সক্রিয় সিপিএম কর্মী।” এতেই তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা।
বিষয়টি বিশ্লেষণ করলে যা দাঁড়ায় তা হল তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করে বিজেপি, তা নিয়ে পুলিশে অভিযোগ সিপিএম কর্মীর। যদিও বিষয়টিকে অস্বীকার করেছেন CPI(M)নেতা আহমেদ খান। তিনি জানান, গৌতম নামে যিনি অভিযোগ জানিয়েছেন বলে জানা যাচ্ছে, ”তিনি মিথ্যে বলছেন। তিনি দলের কেউ নয়।” অন্যদিকে, স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব গৌতম মুখোপাধ্যায়কে গ্রামের বাসিন্দা বলেই শনাক্ত করেন। তৃণমূলের কর্মসূচিতে বিজেপির কর্মী প্রহৃত এই ঘটনায় তিনি কেন অভিযোগ জানাচ্ছেন, এই নিয়ে প্রশ্ন করলে স্বঘোষিত সিপিআইএম কর্মী দাবি করেন, তিনি মন্দির কমিটির সদস্য। এতে মন্দিরের, গ্রামের অসম্মান হচ্ছে তাই তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন।
তৃণমূল পার্টি অফিসের সামনে দাঁড়িয়েই সংবাদ মাধ্যমকে গৌতম মুখোপাধ্যায়, যিনি গ্রামবাসী হিসেবে সাগর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে দত্তপুকুর থানায় দিদির দূত কর্মসূচিতে সাগর বিশ্বাসের বিরুদ্ধে গণ্ডগোল পাকানোর অভিযোগ করেছেন। তিনি কিন্তু পরেও স্পষ্ট জানান, ‘তিনি CPI(M) করেন। অপরদিকে আহমেদ আলী খান সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য এই গৌতম মুখোপাধ্যায়ের দাবিকে নাকচ করে বলেছেন, ”ও একটা ধান্দাবাজ। সিপিএম-এর বদনাম করার জন্য এ কাজ করেছে।”
আক্রান্ত সাগর বিশ্বাস এ ঘটনা জানার পর সাংঘাতিক অবাক হয়েছেন,তিনি বুঝতে পারছেন না যে একটা সত্য ঘটনাকে মিথ্যায় পরিণত করার চক্রান্ত করার পরিকল্পনা চলছে কিনা,বর্তমান সরকারের এটাই অভ্যাসে পরিনত হয়েছে।সাগর বিশ্বাস জানান,তিনি মার খেলেন,আক্রান্ত হলেন,কিন্তু তার বিরুদ্ধেই মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।বিচার না পেয়ে উল্টে তাকে ফাঁসিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত চলছে বলে জানান সাগর বিশ্বাস।
উল্লেখ্য, এখনও অধরা চড় কাণ্ডে অভিযুক্ত শিবম রায়।