Produced by Arijit Dey | Lipi | Updated: 25 Jan 2023, 7:03 pm

গোরু পাচার মামলায় তদন্ত নেমে আবার সিউড়ির ব্যাঙ্কে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিন আরও কয়েকটি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে।

 

গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা সিবিআইযের। নিজস্ব ছবি।

হাইলাইটস

  • সিউরির সমবায় ব্যাঙ্কে আবার হানা দিল সিবিআই
  • বেশ কয়েকটি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা
  • আগেও ১৭৭টি অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল
সিউড়ির (Suri) সমবায় ব্যাঙ্কে আবার হানা দিল সিবিআই। বুধবার সকালে CBI আধিকারিকদের একটি দল সিউড়ি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে যায়। সেখানে মিনিট পনেরো ব্যাঙ্কের নথিপত্র খতিয়ে দেখেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন আরও বেশ কয়েকটি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেই সংখ্যাটা শতাধিক বলে সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিউড়ির ওই সমবায় ব্যাঙ্কে (Co Operative Bank) এর আগে অভিযান চালিয়ে আগে মোট ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওযা গিয়েছিল। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলির নথিতে একই ধরনের হাতের লেখা দেখে চোখ কপালে উঠেছিল সিবিআই আধিকারিকদের। এদিন ব্যাঙ্ক থেকে বেশ কিছু নথি সংগ্রহ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আগেও অভিযোগ উঠেছিল ব্যাঙ্কে যাদের নামে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, আসলে তারা জানেনই না। ব্যাঙ্ক থেকে বেরিয়ে পুরন্দরপুর এলাকার হরিপুর গ্রামে গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেখানকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। তাদের কয়েকজনের সঙ্গেও কথা বলেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।

Anubrata Mondal : ‘ভূতুড়ে’ ১৭৭ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট চালাত কোন ব্যক্তি? মরিয়া হয়ে উত্তর খুঁজছে CBI
এর আগেও সিউড়ি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে অভিযান চালিয়ে মোট ১৭৭টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ পেয়েছিল সিবিআই। ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলির গোরু পাচারের কালো টাকা সাদা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। ব্যাঙ্কে পাওয়া যাবতীয় নথিপত্র খতিয়ে দেখে সিবিআই আধিকারিকরা নিশ্চিত যে ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টগুলি কোনও একজন ব্যক্তিই চালাত। কারণ প্রতিটি অ্যাকাউন্টের নথিতে মেলা হাতের লেখা একই ধরনের। নিশ্চিত হতে হ্যান্ড রাইটিং এক্সপার্টের সাহায্য নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। ওই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলিকে ক্লোজ করেছিল সিবিআই। যাদের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়়েছে, তাদের অভিযোগ সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পে তাঁরা নথি জমা দিয়েছিলেন। সেখান থেকে হয়তো নথি বেহাত হয়েছে। কালো টাকা সাদা করার ক্ষেত্রে রাজ্য খাদ্য দফতরের যোগ রয়েছে, এমনটাও অভিযোগ করেছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
Anubrata Mondal : ফের ধাক্কা, আপাতত জেলেই অনুব্রত মণ্ডল
গোরু পাচার মামলায় বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে সিবিআই। এই মামলার তদন্ত করছে ইডিও। ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখ অবধি কেষ্টর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাউস অ্যাভিনিউ কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে আদালত। সিবিআই যেভাবে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে তৎপর, তাতে আগামীদিনে এই মামলার তদন্তের গতিপ্রকৃতি কোন দিকে যায়, সেটাই দেখার।

আশপাশের শহরের খবর

Eisamay News App: আশপাশের তাজা ও গুরুত্বপূর্ণ খবর বাংলায় পড়তে ডাউনলোড করুন এই সময় অ্যাপ



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version