Calcutta High Court : দুই কাউন্সিলারের সম্পত্তির উৎসের খোঁজে এবার মামলা – calcutta high court started investigation into the source of the huge wealth of tmc two councilors


এই সময়: এ বার রাজ্যের শাসকদলের দুই কাউন্সিলারের বিপুল সম্পত্তির উৎস সন্ধানে তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হলো কলকাতা হাইকোর্টে। এর আগে শাসক ও বিরোধী দলের নেতা-মন্ত্রী-সাংসদদের বছর বছর বেড়ে চলা সম্পত্তির হিসেবের উৎস সন্ধানে হাইকোর্টেই একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছিল। যদিও সুপ্রিম কোর্ট তেমন একটি মামলার শুনানিতে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়ে রাখায় এখন এই ধরনের মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে ধন্দ রয়েছে।তার মধ্যেই এ বার দক্ষিণ দমদম পুরসভার দুই কাউন্সিলারের বিপুল অর্থের উৎস কী, তা জানতে চেয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ভোটে দাঁড়ানোর সময়ে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় যে সম্পত্তির হিসেব তাঁরা দিয়েছেন, সেই তথ্য হাতিয়ার করেই মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। মামলাকারী অনিন্দ্যসুন্দর দাসের আইনজীবী গত সপ্তাহে শুনানিতে দাবি করেন, দুই কাউন্সিলার নিতাই দত্ত ও দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী, তাঁরা বিপুল অর্থের মালিক। কিন্তু বাস্তবে তাঁদের অর্থের পরিমাণ আরও অনেক বেশি বলে দাবি করা হয়েছে মামলায়। মামলাকারীর দাবি, হিসেবে কারচুপি করা হয়েছে। এঁদের আয়ের উৎস কী? এক জন জনপ্রতিনিধির এত টাকা কী ভাবে আয় হয়? এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

Kolkata Hookah Bar Ban : কলকাতা-বিধাননগরে হুক্কাবার বন্ধ নয়, নির্দেশ বিচারপতি মান্থার
রাজ্যের তরফে অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনে দেওয়া এক ব্যক্তির হলফনামার ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে এমনিতে কোনও অভিযোগ নেই। দু’জনেই জনপ্রতিনিধি।’ তাঁদের সুনাম নষ্ট করতেই এমন মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন এজি। এমনকী, মামলায় কাউন্সিলার নিতাই দত্তের বিরুদ্ধে দুবাইয়ে অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়েছে। বীরভূমে নিতাইয়ের জমি রয়েছে বলেও দাবি করা হয়েছে মামলায়। দুই কাউন্সিলারেরই আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, অভিযোগের পক্ষে মামলাকারী কী প্রমাণ দিয়েছেন? তাঁদের বক্তব্য, এই ধরনের মামলা বাতিল না-করলে যে কেউ কোর্টে এসে ইডি, সিবিআই-কে দিয়ে তদন্ত করানোর দাবি তুলবেন। নিতাইয়ের আইনজীবীর কথায়, ‘কিছু প্রমাণ দিন। কোথাও কোনও জমি নেই। বীরভূমে জমি থাকার প্রমাণ দিন! দুবাইয়ে টাকা পাঠানোর প্রমাণ কী? ভিত্তিহীন অভিযোগ নিয়ে মামলা করা যায় না। অন্তত কিছু তথ্য থাকতে হয়।’

Teacher Recruitment Scam : চারমূর্তির রহস্যভেদেই খুলবে ‘প্যান্ডোরার বাক্স?’
সেন্ট্রাল ভিজিল্যান্স কমিশনের তরফে জানানো হয়, এই ধরনের বিষয়ে আগে থানায় অভিযোগ জানাতে হয়, না-হলে এই ধরনের অভিযোগে মামলার কোনও গুরুত্ব নেই। আর এই দুই কাউন্সিলারের ক্ষেত্রে সম্পত্তি নিয়ে থানায় আগে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, এমন কোনও নথি দেওয়া হয়নি। কাউন্সিলার দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ ও অনন্ত সাউয়ের বক্তব্য, ‘মামলাকারী যদি বেআইনি সম্পত্তির প্রমাণ দিতে না-পারেন, তা হলে আমরা কোটি টাকার মানহানির মামলা করব।’ আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *