স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুর্ঘটনায় অভিভাবক বাসের ধাক্কা খাওয়ায় এলাকায় হইচই শুরু হয়ে যায়। রদা বিদ্যাপীঠ স্কুলের কাছে সিভিক ভলেন্টিয়াররা তড়িঘড়ি বিষয়টি ঝাড়গ্রাম থানায় জানায় । ছুটে আসে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিশ । উদ্ধার কার্যের জন্য নিয়ে আসা হয় দুটো জেসিবি মেশিন। অভিভাবককে বাসের নীচ থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় ঝাড়গ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে। সেখানে এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। তাঁর পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। অন্যদিকে বাসের দুই যাত্রীও এই দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
স্কুলের সামনে ছুটির সময় ভিড় লেগেই থাকে। আজ আরও বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত বলে জানিয়েছে অভিভাবকদের একাংশ। বাসের যাত্রীরও এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়েছে পড়েছেন। বাস যাত্রী রাহুল ত্রিপাঠী বলেন, “আমরা বাসের মধ্যে বসেছিলাম । বাসের সামনে হঠাৎ করে একটি বাইক চলে আসে । বাইকটাকে বাঁচানোর জন্যই গিয়ে স্কুলের পাঁচিলে ধাক্কা মারে বাসটি”।
উল্লেখ্য, লোধাশুলী থেকে ঝাড়গ্রাম আসার এই ১৫ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে প্রতিনিয়ত ঘটে চলেছে পথদুর্ঘটনার ঘটনা । কয়েক মাস আগে বরিয়ার কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি যাত্রীবাহী বাস উলটে যায়। আরও একটি ছোট গাড়ি তার কয়েকদিন পর দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। রাস্তার বেহাল দশার কারণে এই দুর্ঘটনা বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। প্রশাসনের উদ্যোগে মাস কয়েক আগে রাস্তার কাজ শুরু হলেও ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ি পেট্রল পাম্প থেকে শুরু করে বরিয়া পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাজ হয়েছে বাকি রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। রাস্তার কাজ কখন শেষ হয়, সেটাই এখন দেখার।