বুধবার এই প্রবীণ চিকিৎসরে মৃত্যুতে তমলুক শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিন অসংখ্য মানুষ তাঁকে শেষ দেখার জন্য জড়ো হন। তাম্রলিপ্ত পৌর নাগরিক সমিতির পক্ষে লেখা রায় তাঁকে মাল্যদান করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিদ্যাসাগর কৃষ্টি সম্মেলনী- র পক্ষে অশোক তরু প্রধান, ডাক্তার বিশ্বনাথ মিশ্র সহ অসংখ্য মানুষ চিকিৎসককে শেষ দেখা দেখতে উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক তুষার রায় মানবসেবাকে জীবনের পরম ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ওনার স্ত্রী’র আগেই জীবনাবসান হয়েছে। একমাত্র পুত্র মুম্বইয়ে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের (Bhaba Atomic Research Centre) বিজ্ঞানী। তাঁর পুত্র মুম্বই থেকে এলেই ওনার শেষকৃত্যু সম্পন্ন হবে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, আগে ১ টাকা চিকিৎসা করলেও ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ফি বাবদ সামন্য টাকা বাড়িয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। ওই টাকায় ওষুধ কেনা বাদে শ্যামল বক্সি নামে এক কর্মচারীর বেতনের জন্য খরচ করা হত। চিকিৎসকের মৃত্যু স্থানীয় বাসিন্দারও শোকাহত। স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব দাস বলেন, ‘উনি খুব সমাজসেবী ছিলেন, অনেক দরিদ্র ছেলে মেয়ের পড়াশোনার সাহায্য করেছেন যার মধ্যে আমিও একজন। শুধু পড়া শোনা নয় সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবাও তিনি তুলে দিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা দিশেহারা।’