পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তমলুকের খ্যাতনামা চিকিৎসক ডাঃ তুষার রায়ের (Doctor Tushar Roy) জীবনাবসান। বিশিষ্ট হোমিও চিকিৎসক বুধবার সকাল ১১টা ৩৩ মিনিটে মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৩ বছর। পাঁশকুড়ার বনমালী কলেজের পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক হলেও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসাশাস্ত্রে (Homepathy Treatment) বিশেষ জ্ঞান অর্জনের জন্য চিকিৎসক হিসেবেই তিনি সবার কাছে পরিচিত ছিলেন। ১ টাকার চিকিৎসক হিসেবেও ওনার খ্যাতি রয়েছে। নামমাত্র ১ টাকায় সারা জীবন চিকিৎসা করেছেন। গরিব মধ্যবিত্ত থেকে শুরু করে উচ্চবিত্ত বহু মানুষের দুরারোগ্য অসংখ্য রোগ তিনি সারিয়ে তুলেছেন। তমলুক শহরে ‘বিদ্যাসাগর কৃষ্টি সম্মেলনী’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দুঃস্থ ও মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের বিনা পয়সা কোচিং সেন্টারও পরিচালনা করেছেন তিনি। আশির দশক থেকে তমলুক শহরের নবম দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের ফ্রি কোচিং শুরু করেছিলেন। দুই অধ্যাপক তুষার গিরি ও সমাজসেবী মানব বেরা কোচিং সেন্টার পরিচালনার কাজে তাঁকে সাহায্য করেছেন।

Padma Award : গরীবের ভগবান! পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত মধ্যপ্রদেশের ২০ টাকার চিকিৎসক
বুধবার এই প্রবীণ চিকিৎসরে মৃত্যুতে তমলুক শহরে শোকের ছায়া নেমে আসে। এদিন অসংখ্য মানুষ তাঁকে শেষ দেখার জন্য জড়ো হন। তাম্রলিপ্ত পৌর নাগরিক সমিতির পক্ষে লেখা রায় তাঁকে মাল্যদান করে তাঁকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। বিদ্যাসাগর কৃষ্টি সম্মেলনী- র পক্ষে অশোক তরু প্রধান, ডাক্তার বিশ্বনাথ মিশ্র সহ অসংখ্য মানুষ চিকিৎসককে শেষ দেখা দেখতে উপস্থিত ছিলেন।

Naihati Hospital: ডাক্তার না থাকলেও ভর্তির অভিযোগ! রোগী মৃত্যুতে নৈহাটির নার্সিংহোমে ভাঙচুর
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চিকিৎসক তুষার রায় মানবসেবাকে জীবনের পরম ধর্ম হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন। ওনার স্ত্রী’র আগেই জীবনাবসান হয়েছে। একমাত্র পুত্র মুম্বইয়ে ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারের (Bhaba Atomic Research Centre) বিজ্ঞানী। তাঁর পুত্র মুম্বই থেকে এলেই ওনার শেষকৃত্যু সম্পন্ন হবে। এলাকাবাসীরা জানিয়েছেন, আগে ১ টাকা চিকিৎসা করলেও ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ফি বাবদ সামন্য টাকা বাড়িয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। ওই টাকায় ওষুধ কেনা বাদে শ্যামল বক্সি নামে এক কর্মচারীর বেতনের জন্য খরচ করা হত। চিকিৎসকের মৃত্যু স্থানীয় বাসিন্দারও শোকাহত। স্থানীয় বাসিন্দা বাসুদেব দাস বলেন, ‘উনি খুব সমাজসেবী ছিলেন, অনেক দরিদ্র ছেলে মেয়ের পড়াশোনার সাহায্য করেছেন যার মধ্যে আমিও একজন। শুধু পড়া শোনা নয় সাধারণ মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবাও তিনি তুলে দিয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে আমরা দিশেহারা।’



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version