মতুয়াদের একাংশের দাবি, অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ক্ষমা চাইতে হবে। হরিচাঁদ, গুরুচাঁদ ঠাকুরকে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিদ্রূপ করে মন্তব্য করেছেন, দাবি মতুয়াদের একাংশের। সেই মন্তব্যের প্রতিবাদে প্রথমে প্রতিবাদ মিছিল করে এরপরে রাস্তায় শুয়ে পরে অবরোধ শুরু করেন তাঁরা। ঘটনাস্থলে দত্তপুকুর থানার পুলিশ (Duttapukur Police Station) এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আন্দোলনকারীরা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরকে ভুল ভাবে বলেছেন, এটা মতুয়াদের অপমান, বাংলার অপমান। প্রকৃতপক্ষে একটা ধর্মীয় ভাবাবেগ কে আঘাত করা।” তাঁদের কথায়, মুখ্যসচিব এবং মমতাবালা ঠাকুর সেখানে বসেছিলেন। তাঁদেরকে জিজ্ঞেস করেছে, তিনি ঠিক বলছে কি না, এই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছাকৃত করেছে বলে জানান মতুয়া মহাসংঘের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি অনির্বাণ হালদার।
মুখ্যমন্ত্রী এমন মন্তব্য করার পর দু’দিন সময় দেওয়া হয়েছিলো। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী ঠাকুর বাড়িতে আসেনি এবং বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাও চায়নি। তাই বাধ্য হয়ে গোটা মতুয়া সমাজ আজ পথে নেমেছে বলে দাবি করেন মতুয়া সম্প্রদায়ের আন্দোলনকারীরা। এই অবরোধের ফলে ৩৫ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। রাস্তায় শুয়েই চলে মতুয়া ভক্তদের প্রতিবাদ। অবশেষে দত্তপুকুর থানার পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয় মতুয়া মহা সংঘের আন্দোলনকারীরা। তবে তাঁদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে নিঃস্বার্থ ক্ষমা চাইতে হবে, তা না হলে তাঁরা বৃহত্তর আনদোলনের পথে নামবে তাঁদের জাতির জনককে অপমান করার প্রতিবাদে।
যদিও বিষয়টি নিয়ে গতকাল, শনিবারই তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) অফিশিয়াল টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা হয়, “আমরা হরিচাঁদ ঠাকুর ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের প্রতি সর্বদা শ্রদ্ধাশীল। বিরোধীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ক্লিপ ব্যবহার করে মতুয়াদের ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে। ওই সময় অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর (মুখ্যমন্ত্রীর) কথা জড়িয়ে গিয়েছিল। আমরা মানুষকে অনুরোধ করছি এমন কোনও প্ররোচনায় পা দেওয়ার জন্য। আপনারা মনে রাখবেন রাজ্য সরকার মতুয়া সম্প্রদায়ের কল্যাণের জন্য প্রচুর কাজ করেছে।”