গোরু পাচার মামলার (Cattle Smuggling Case) তদন্তে উঠে এসেছে, সিউড়ির কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে এমন অনেকের নামে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল, যাঁরা ওই সব অ্যাকাউন্টের অস্তিত্ব এবং টাকা জমা পড়ার কথা জানতেন না। সিবিআইয়ের বক্তব্য, কেবল তাঁদের নথি কোনও ভাবে জোগাড় করে সে সব দিয়ে ওই অ্যাকাউন্টগুলো খুলে প্রচুর টাকার লেনদেন হয়েছে গোরু পাচারের কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যে। ই-নাগেটস গেমিং অ্যাপ প্রতারণা মামলাতেও ইডি-র তদন্তে উঠে এসেছে যে, দ্রুত অসংখ্য অ্যাকাউন্টে সরিয়ে ফেলা হয়েছে প্রতারণার কোটি কোটি টাকা।
ইডি সূত্রের দাবি, স্কুলে শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় ১৯ কোটি টাকা নেওয়ার কথা জেরায় স্বীকার করেছেন কুন্তল। সেই টাকার সিংহভাগ তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে পাঠাতেন, নিজের ‘শেয়ার টুকু’ বাদ রেখে। ইডি সেই প্রভাবশালী ব্যক্তিদের খোঁজ চালাচ্ছে। যে সব বাড়ি, ফ্ল্যাট বা অফিস খুলে চাকরিপ্রার্থীদের ও নিজের এজেন্টদের সঙ্গে কুন্তল মিটিং করতেন, সেগুলির দিকেও ইডি-র নজর রয়েছে। তদন্তকারীরা ইতিমধ্যেই চিনার পার্কে কুন্তলের দু’টি ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি বাজেয়াপ্ত করেছেন। তবে ইডি-র দাবি, আরও বহু আবাসনে কুন্তলের বেশ কয়েকটি ফ্ল্যাট ও অফিস ছিল। সেগুলোর হদিশ মিললে ইডি-র কাজ হবে, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং রেজিস্টার খাতা রয়েছে কি না, সেটা জানা। তা হলে সেই সব জায়গায় কারা যাতায়াত করতেন, তাঁদের খোঁজ মিলতে পারে, এমনটাই তদন্তকারীদের বক্তব্য।