পূর্ব নির্ধারিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শহরের যান জট মেটাতে গত কিছুদিন আগে পুরসভা, পুলিশ ও প্রশাসন যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেয় স্টেশন সংলগ্ন স্থানে রাস্তার উপর থেকে বাজার তুলে দেওয়ার। সেক্ষেত্রে শুরু থেকেই পুনর্বাসনের দাবি জানিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করার কথা থাকলেও পরবর্তীতে তার পরিবর্তে মঙ্গলবার থেকে তা লাগু করার ঘোষনা করা হয়। সেই অনুযায়ী মঙ্গলবার সকাল সকাল রায়গঞ্জ পুরসভা ও প্রশাসন পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাজারে পৌঁছয়। তারা মানবিক স্বার্থে ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে রাস্তা থেকে বাজার সরিয়ে পাশেই রেলেরই উঁচু জায়গায় বসার ব্যবস্থা করে দেয়। কিন্তু তারপরই ঘটে বিপত্তি। রেলের পক্ষ থেকে সেই স্থানে বাজার বসার ক্ষেত্রে আপত্তি জানানো হয়। রেলের পক্ষ থেকে RPF-র হেড কনস্টেবল রাম অবতার শা এসে তাদের সরে যেতে বলেন। এরপরই সামান্য উত্তেজনা তৈরি হয়। ব্যবসায়ীদের স্বার্থে পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস, উপ পুর প্রশাসক অরিন্দম সরকার সহ কো-অর্ডিনেটররা এর প্রতিবাদ জানান। শুরু হয় বাগবিতন্ডা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, কেউ ৫ বছর কেউ ৭ বছর ধরে প্রত্যন্ত এলাকা থেকে এখানে এসে ব্যবসা করছেন। এর উপরে গোটা পরিবার নির্ভর করে থাকে। এই মুহূর্তে তাদের একেবারে উচ্ছেদ করে দিলে না খেয়ে মরতে হবে। পুরসভা ও প্রশাসন তাঁদের কিছুটা সরে বসতে বলায় তারা খুশি কিন্তু তারপর আবার রেলের আপত্তিতে এখন নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে। সেক্ষেত্রে স্থায়ী সমাধানের দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সাধারন ক্রেতারা। এখান থেকে বাজার একেবারে উঠে গেলে সমস্যায় পড়তে হবে বলে দাবি সাধারণ মানুষের।
এদিন সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে রেলের প্রতি যথেষ্ট অসন্তোষ ব্যক্ত করেন রায়গঞ্জের (Raiganj) পুর প্রশাসক সন্দীপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “শহরে যানজট মেটাতে চালু হয়েছে ওয়ান ওয়ে ট্রাফিক সিস্টেম। যার সাথে সাযুজ্য রেখে এই বাজার রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জন স্বার্থে। যেখানে সর্বত্রই রেলের জায়গায় বাজার বসে।” যদিও রেলের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কিছু বলতে নারাজ আর পি এফের হেড কনস্টেবল রাম অবতার শা।