কাউন্সিলার সুপ্রিয়া বলেন, ‘গাড়ির চালকের আসনে থাকা সোহেল খান নামে এক যুবক কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের গালিগালাজ শুরু করে। আমরা প্রতিবাদ করতেই গাড়িতে থাকা তিন জনই গাড়ি থেকে নেমে ফের গালিগালাজ, ধাক্কাধাক্কি, মারধর পর্যন্ত করে। নখের আঁচড়ে আমার হাত কেটে যায়। আমার স্বামী প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও ধাক্কা দেয় ওরা।’ চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। বাসিন্দারা মদ্যপ ওই দুই যুবক ও এক তরুণীকে ধরে চড়থাপ্পড় দেয়। খবর পেয়ে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই তিন জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সোহেল খান ছাড়া বাকি দুই ধৃতের নাম রাহুল জয়সওয়ারা এবং মৌমিতা রায়। ধৃতরা ব্যারাকপুর ও ইছাপুরের বাসিন্দা।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি রাতে উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলার শিপ্রা মজুমদারের স্বামী নোয়াপাড়া শহর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল মজুমদার দলীয় অফিস থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পর বাড়ির অদূরেই খুন হন। বছর ঘুরতেই ফের তৃণমূলেরই একজন মহিলা কাউন্সিলার আক্রান্ত হওয়ায় সাধারণ বাসিন্দা তো বটেই উত্তর ব্যারাকপুরের কাউন্সিলারদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান মলয় ঘোষ বলেন, ‘বিষয়টি খুবই চিন্তার। কোনও কারণ ছাড়াই এভাবে একজন মহিলার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আশাকরি আইন মেনে ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা জানান, কী উদ্দেশ্যে কাউন্সিলারের উপর হামলা তার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।