Kolkata Latest News : মদ্যপদের হানায় আক্রান্ত মহিলা কাউন্সিলার, ধৃত ৩ – tmc woman councillor and her husband attacked by drunken youths in kolkata


এই সময়, নোয়াপাড়া: দলীয় কাজকর্ম সেরে ওয়ার্ড অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে সোমবার রাতে মদ্যপ দুই যুবক ও এক তরুণীর হাতে আক্রান্ত হলেন এক মহিলা কাউন্সিলার (Councillor)। আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর স্বামীও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে ইছাপুর ২০ নম্বর রেলগেটের কাছে। নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ঘটনার পরই তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। আক্রান্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের নাম সুপ্রিয়া দাস। উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তিনি। সোমবার রাতে ইছাপুর কণ্ঠাধার মোড়ে ওয়ার্ড অফিসে দলীয় কাজকর্ম সেরে রাত দশটা নাগাদ স্বামী সঞ্জয় দাসের সঙ্গে বাইকে করে ইছাপুর আনন্দমঠ এ ব্লকের বাড়িতে ফিরছিলেন উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার সর্বকনিষ্ঠ ওই মহিলা কাউন্সিলার। ইছাপুর ২০ নম্বর রেলগেট বন্ধ থাকায় কাউন্সিলার ও তাঁর স্বামী বাইকটি নিয়ে দাঁড়িয়ে যান। গেট উঠতেই ফের তাঁরা বাড়ির উদ্দেশে রওনা হন। অভিযোগ, সে সময় উল্টোদিক থেকে একটি গাড়িতে আসছিল দুই যুবক ও এক তরুণী। তাঁরা প্রত্যেকেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল বলে অভিযোগ।

Barrackpore Police Commissionerate : খুনি-লুটেরাকে ধরতে ফেসবুকে পোস্টার দিয়ে ইনাম ঘোষণা পুলিশের
কাউন্সিলার সুপ্রিয়া বলেন, ‘গাড়ির চালকের আসনে থাকা সোহেল খান নামে এক যুবক কোনও কারণ ছাড়াই আমাদের গালিগালাজ শুরু করে। আমরা প্রতিবাদ করতেই গাড়িতে থাকা তিন জনই গাড়ি থেকে নেমে ফের গালিগালাজ, ধাক্কাধাক্কি, মারধর পর্যন্ত করে। নখের আঁচড়ে আমার হাত কেটে যায়। আমার স্বামী প্রতিবাদ করতে গেলে তাকেও ধাক্কা দেয় ওরা।’ চিৎকার চেঁচামেচিতে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। বাসিন্দারা মদ্যপ ওই দুই যুবক ও এক তরুণীকে ধরে চড়থাপ্পড় দেয়। খবর পেয়ে নোয়াপাড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে ওই তিন জনকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। পুলিশ জানিয়েছে, সোহেল খান ছাড়া বাকি দুই ধৃতের নাম রাহুল জয়সওয়ারা এবং মৌমিতা রায়। ধৃতরা ব্যারাকপুর ও ইছাপুরের বাসিন্দা।

Road Accident: মধ্যরাতে বারাসত চাঁপাডালি মোড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা, মৃত ২
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৯ জানুয়ারি রাতে উত্তর ব্যারাকপুর পুরসভার কাউন্সিলার শিপ্রা মজুমদারের স্বামী নোয়াপাড়া শহর তৃণমূলের প্রাক্তন সভাপতি গোপাল মজুমদার দলীয় অফিস থেকে রাতে বাড়ি ফেরার পর বাড়ির অদূরেই খুন হন। বছর ঘুরতেই ফের তৃণমূলেরই একজন মহিলা কাউন্সিলার আক্রান্ত হওয়ায় সাধারণ বাসিন্দা তো বটেই উত্তর ব্যারাকপুরের কাউন্সিলারদের মধ্যেও আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। উত্তর ব্যারাকপুরের পুরপ্রধান মলয় ঘোষ বলেন, ‘বিষয়টি খুবই চিন্তার। কোনও কারণ ছাড়াই এভাবে একজন মহিলার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। পুলিশ ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে। আশাকরি আইন মেনে ধৃতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে পুলিশ।’ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা জানান, কী উদ্দেশ্যে কাউন্সিলারের উপর হামলা তার তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *