মৃতের পরিবারের দাবি, সুকুমার ঘোষ ১০ গাড়ি আলু রেখেছিলেন স্থানীয় একটি হিমঘরে। আলু রাখার জন্য নিজের স্ত্রীর ও আত্মীয়দের কাছ থেকে গয়না নিয়ে বন্ধক রেখেছিলেন। গয়না বন্ধক রেখে চন্দ্রকোণায় কালিকাপুরের এক সোনা ব্যবসায়ীর কাছে সাড়ে তিন লাখ টাকা লোন নিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। মাথার উপর লোনের বোঝা থাকার কারণেই ওই ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ (Khirpai Police)। আলু ব্যবসায়ী আত্মঘাতী হয়েছেন নাকি এর পেছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সে ব্যাপারে খোঁজখবর শুরু করেছে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পরেই মৃত্যু সম্বন্ধে নিশ্চিত করে বলা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
সুকুমার ঘোষের পরিবারের তরফে জানায় হয়েছে, কোল্ড স্টোরেজে আলু রেখে ক্ষতির মুখে কৃষক থেকে ব্যাবসায়ীরা। আর সেই কারণেই সুকুমার ঘোষ গত দেড় মাস যাবৎ মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তার উপর বন্ধকি সোনা ছাড়াতে গিয়ে দেখেন দোকানে ঝুলছে তালা। বেপাত্তা হয়েছে দোকানি। দোকান বন্ধ দেখে তিনি আরও ভেঙে পড়েন বলে বাড়ির লোকের দাবি। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকেই তাঁকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না বলে জানায় পরিবারের লোকজন। বাড়ির লোকেরা খোঁজাখুঁজি করে তাঁকে বাড়ির পাশের জমিতে উদ্ধার করে। ক্ষীরপাই গ্রামীণ হাসপাতালে (Khirpai Rural Hospital) ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকে ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হলেও মৃত্যু হয় সুকুমার ঘোষের।
ঘটনার খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালে ক্ষীরপাই ফাঁড়ির পুলিশ (Khirpai Police) মৃতদেহ উদ্ধার করে। দেহ ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া। আলু ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতি বারই জেলার চাষি ও ব্যবসায়ীদের একাংশ বাড়তি লাভের আশায় হিমঘরে আলু মজুত করেন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বছর দক্ষিণবঙ্গে আলুর ফলন কিছুটা মার খেলেও, উত্তরবঙ্গে ভাল ফলন হয়েছে। ফলে, হিমঘর থেকে বেশি আলু বার করার মতো চাহিদা তৈরি হয়নি।
