২০২০ সালে নিজের মেয়ের কাছে গোপন সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে ধরা পড়ে যান পেশায় ঠিকাদার রবিন্দর চৌরাশিয়া। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাবার মোবাইল ফোন ঘেঁটে মেয়ে জেনে গিয়েছিল বাবার নতুন সম্পর্কের কথা। এর পরেই প্রথম পক্ষের সংসারে শুরু হয়েছিল অশান্তি। অন্য সম্পর্কের জাল থেকে নিজেকে বার করতে সগুফতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন রবিন্দর। কিন্তু সগুফতাও তাঁকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এই নিয়েই দ্বিতীয় সম্পর্কেও শুরু হয় ঝামেলা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৮ সালে নতুন ফ্ল্যাট কেনার পরে মাস চারেক এক সঙ্গে বসবাস করেছিলেন দু’জনে। এর পর সেখানে ধারাবাহিক ভাবে না থাকলেও মাঝেমধ্যে যাতায়াত করতেন রবিন্দর। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কাছে এই আলাদা ফ্ল্যাট কেনার কথা রবিন্দর গোপন করলেও পরে তাঁরা জেনে গিয়েছিলেন সে-কথাও।
বুধবার সকালে আদর্শনগরের ফ্ল্যাট থেকে প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ‘কাজে যাচ্ছি’ বলে বেরিয়েছিলেন রবিন্দর। দুপুরে সগুফতাকে নিয়ে উঠেছিলেন চাঁদের ভিলেজ রোডের ফ্ল্যাটে। ওই আবাসনের অন্য আবাসিক এবং প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল থেকে দু’জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চিৎকার চেঁচামেচি শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে আর কোনও আওয়াজ মেলেনি। দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় দুপুরে। শুক্রবার রবিন্দর এবং সগুফতার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। তদন্তকারীরা জানান, সগুফতার গলায় শ্বাসরোধের দাগ রয়েছে। যা থেকে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত, সগুফতাকে খুন করে সিলিং ফ্যানের হুকে গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দেন রবিন্দর।