Haridevpur Incident : রবিন্দরের ১০৯ পাতার চ্যাটেও স্পষ্ট সম্পর্কের টানাপোড়েন – haridevpur incident lalbazar police collected whatsapp chat print out for investigation


এই সময়: আগের দিন মৃতদেহের সঙ্গে পাঁচ পাতার সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছিল। এ বার তদন্তের স্বার্থে হরিদেবপুরে চাঁদের ভিলেজ রোডে মৃত রবিন্দরের মোবাইল ফোন থেকে ১০৯ পাতার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের প্রিন্ট-আউট সংগ্রহ করলেন লালবাজারের তদন্তকারীরা। লালবাজারের এক গোয়েন্দাকর্তার বক্তব্য, সগুফতা পরভিনকে খুন করে নিজে আত্মঘাতী হবেন–এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন রবিন্দর। সুইসাইড নোটে সেই কথা লিপিবদ্ধও করেছেন তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-য় সগুফতাকে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করেছিলেন আগে থেকেই বিবাহিত ও দুই সন্তানের বাবা রবিন্দর। এর কয়েক মাস পরেই তাঁকে নিয়ে আলাদা থাকবেন বলে চাঁদের ভিলেজ রোডে এক কামরার ফ্ল্যাট কেনেন। সগুফতা এন্টালির একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। সেখানেই পরিচয়। বিয়ের পরে বিউটি পার্লারের কাজ ছেড়ে দেন সগুফতা। অন্য দিকে প্রথম স্ত্রী, এক ছেলে এবং এক মেয়েকে নিয়ে সরশুনার আদর্শনগরে অন্য একটি ফ্ল্যাটে থাকতেন রবিন্দর।

Haridevpur Incident : পরকীয়ার জেরে আত্মহত্যা? হরিদেবপুরের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত স্বামীর সঙ্গেই অচেনা মহিলার দেহ উদ্ধার! হতবাক স্ত্রী
২০২০ সালে নিজের মেয়ের কাছে গোপন সম্পর্কের বিষয়টি নিয়ে ধরা পড়ে যান পেশায় ঠিকাদার রবিন্দর চৌরাশিয়া। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাবার মোবাইল ফোন ঘেঁটে মেয়ে জেনে গিয়েছিল বাবার নতুন সম্পর্কের কথা। এর পরেই প্রথম পক্ষের সংসারে শুরু হয়েছিল অশান্তি। অন্য সম্পর্কের জাল থেকে নিজেকে বার করতে সগুফতার সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে শুরু করেন রবিন্দর। কিন্তু সগুফতাও তাঁকে ছাড়তে রাজি ছিলেন না। এই নিয়েই দ্বিতীয় সম্পর্কেও শুরু হয় ঝামেলা। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২০১৮ সালে নতুন ফ্ল্যাট কেনার পরে মাস চারেক এক সঙ্গে বসবাস করেছিলেন দু’জনে। এর পর সেখানে ধারাবাহিক ভাবে না থাকলেও মাঝেমধ্যে যাতায়াত করতেন রবিন্দর। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর কাছে এই আলাদা ফ্ল্যাট কেনার কথা রবিন্দর গোপন করলেও পরে তাঁরা জেনে গিয়েছিলেন সে-কথাও।

Youtuber Riya Kumari Murder Case : ইশার সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে খুনের ছক! প্রকাশের চাঞ্চল্যকর ‘প্ল্যান’ জানাল হাওড়া পুলিশ
বুধবার সকালে আদর্শনগরের ফ্ল্যাট থেকে প্রথম পক্ষের স্ত্রীকে ‘কাজে যাচ্ছি’ বলে বেরিয়েছিলেন রবিন্দর। দুপুরে সগুফতাকে নিয়ে উঠেছিলেন চাঁদের ভিলেজ রোডের ফ্ল্যাটে। ওই আবাসনের অন্য আবাসিক এবং প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, বুধবার বিকেল থেকে দু’জনের মধ্যে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। গভীর রাত পর্যন্ত চিৎকার চেঁচামেচি শোনা গিয়েছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার সকালে ওই ফ্ল্যাট থেকে আর কোনও আওয়াজ মেলেনি। দু’জনের মৃতদেহ উদ্ধার হয় দুপুরে। শুক্রবার রবিন্দর এবং সগুফতার মৃতদেহের ময়নাতদন্ত হয়। তদন্তকারীরা জানান, সগুফতার গলায় শ্বাসরোধের দাগ রয়েছে। যা থেকে পুলিশ এক প্রকার নিশ্চিত, সগুফতাকে খুন করে সিলিং ফ্যানের হুকে গামছা বেঁধে গলায় ফাঁস দেন রবিন্দর।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *