এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদার (Malda) ইংরেজবাজার (English Bazar) ব্লকের যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের গোপালপুর এলাকায়। আক্রান্ত পরিবার উপপ্রধান ও তার দলবলের বিরুদ্ধে ইংরেজ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ পাওয়ার পরে ঘটনাটিকে ঘিরে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। যদিও অভিযুক্ত উপপ্রধান জানিয়েছেন তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। যারা নিজেকে তৃণমূল বলছে তারা দলের কেউ নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইংরেজ বাজার (English Bazar) ব্লকের যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের গোপালপুর এলাকার অঞ্চল যুব সহ সভাপতি সম্রাট দত্ত তার বাবা শংকর দত্তকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। অভিযোগের তীর যদুপুর ২ নম্বর অঞ্চলের উপপ্রধান সনেকা মণ্ডলের বিরুদ্ধে। অঞ্চল যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সহ সভাপতি সম্রাট দত্ত জানান, “উপপ্রধান সনেকা মণ্ডল দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় চপ সিঙ্গারা বিক্রির আড়ালে মদ বিক্রি করত। তার পাশাপাশি সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত ছিল। মদ বিক্রির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হতে হয় আমার পরিবারকে। এই নিয়ে ইংরেজ বাজার থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি আমরা।” এই বিষয়ে উপপ্রধান সনেকা মণ্ডলকে প্রশ্ন করা হলে তিনি তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলেছেন।
এই বিষয়ে তাঁর বক্তব্য, “যারা নিজেদেরকে তৃণমূল বলছে তারা আদৌ তৃণমূল দলের কেউ নয়। তারাই এলাকায় সমাজ বিরোধী কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত। মারধরের ঘটনায় আমি জড়িত নই। আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে মিথ্যে অভিযোগ করা হয়েছে।” এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী জানান, “ঘটনাটি শুনতে পেয়েছি, জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি দেখছে। যদি কেউ অন্যায় করে থাকে দল তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।” এই বিষয়ে পালটা BJP-র দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুরী জানান, “আজকে চাকরি বিক্রি করা, রাস্তা বিক্রি করা, ঘর বিক্রি করা সব ক্ষেত্রেই দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে। তৃণমূলের আজকে আর কোনও কাজ নেই। মদ বিক্রিতেও ভাগাভাগি সঠিকভাবে না হওয়ায় নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলে জড়িয়ে পড়ছে। আমাদের দাবি যারা বেআইনিভাবে মদ বিক্রি করছে পুলিশ প্রশাসন তাঁদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নিক।”