খাতায় কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই প্রকল্পের হদিশ, ২৩০০ কোটির দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি-র । bjp and general people have alleged a corruption against tmc of 2300 crore rupees


রণজয় সিংহ: খাতায় কলমে প্রকল্প রয়েছে। উপভোক্তাদের নামও রয়েছে। কিন্তু বাস্তবে নেই কোন প্রকল্পের হদিস। এমন ১১০টি প্রকল্প গায়েব মালদা গাজল ব্লকের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতে। এক একটি প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছিল দেড় কোটি টাকা। সেই টাকায় কেঁচো সার অর্থাৎ জৈব সার উংপাদন হবে উপভোক্তারা সুবিধা পাবে এমনটাই হওয়ার কথা। কিন্তু কাগজে কলমে তৈরী হলেও বাস্তবের মাটিতে কোন চিহ্ন নেই। তাই উপভোক্তারা জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মালদা জেলা শাসক। মালদার গাজলের করকচ গ্রাম পঞ্চায়েত ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে ১০০ দিনের কাজে জৈব সার উৎপাদনের জন্য ১১০টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এই সমস্ত প্রকল্পের প্রকল্প মূল্য ছিল প্রায় দেড় কোটি টাকা। কিন্তু অভিযোগ এই প্রকল্পে কোনও কাজই করা হয়নি। আরও অভিযোগ করা হয়েছে যে কাজ না করে সমস্ত টাকাটাই আত্মসাৎ করেছেন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ফুলমণি হাসদা ও পঞ্চায়েত কর্মীদের একাংশ।

পলাশ সরকার নামে এক উপভোক্তা এমন অভিযোগ করে বলেন, ‘পঞ্চায়েত থেকে লোক এসেছিল। জৈব সার উৎপাদনের জন্য আমার জমি ঠিক করা হয়। আমি নিজেই গর্ত করেছি। কিন্তু তারপর কোন কাজ হয়নি। সব টাকা পঞ্চায়েত প্রধান তুলে খেয়ে নিয়েছে এক টাকারও কাজ হয়নি। আমরা ডিএম এর কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি। যারা টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের শাস্তি চাই’।

এই অভিযোগের বিষয়ে করকচ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফুলমণি হাসদার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি। এমনকি ফোনও ধরেননি তিনি। আর এই ঘটনা ঘিরে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর।

আরও পড়ুন: Jalpaiguri: পাশাপাশি দুই স্কুল তবুও নেই পানীয় জলের ব্যবস্থা, চরম দুর্ভোগ পড়ুয়াদের

দক্ষিণ মালদা সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অম্লান ভাদুড়ী বলেন, ‘মালদা জেলায় ১০০ দিনের কাজে ২৩০০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান ও কর্মীদের একাংশ মিলে এই দুর্নীতি করেছে। এই দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমরা আন্দোলনে নামবো। সবগুলোকে জেলে ভরে তারপরই ছাড়বো’।

আরও পড়ুন: Mal Bazar: মালবাজার মহকুমাজুড়ে নেশার আসর, ক্ষিপ্ত এলাকার মানুষ

দুর্নীতি ইস্যুতে পঞ্চায়েতের পাশে দাঁড়াইনি তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী বলেন, ‘দলের নাম ভাঙ্গিয়ে কেউ দুর্নীতি করলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে, দল পাশে দাঁড়াবে না’।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গাজলের বিডিওকে ঘটনার তদন্তে নির্দেশ দিয়েছেন মালদা জেলা শাসক নীতিন সিংহানিয়া।

(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 

 





Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *