মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত রাজেশ্বর শিবলিঙ্গে শিব চতুর্দশীতে জল ঢালতে অসংখ্য ভক্তের সমাগম ঘটেছে শনিবার সকাল থেকে। মন্দির চত্বরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ বাহিনী। শুধু আজ নয় আগামীকালও শিব চতুর্দশী উপলক্ষে একইভাবে উপচে পড়বে মানুষের ভিড় এমনটাই আশা মন্দির কর্তৃপক্ষের।
শিবনিবাস মন্দির, যা তৈরি করেছিলেন মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র। জানা যায়, বর্গীদের আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য তিনি মাজদিয়া শিব নিবাস অঞ্চলে আসেন একবার। তার পরেই তিনি এই মন্দিরটি বানান।
এছাড়াও আরও অনেক বিস্তর কাহিনি রয়েছে এই শিবনিবাস মন্দির ঘিরে। বর্তমানে এই মন্দিরের জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছে গোটা বিশ্বে। বহু দূর দূরান্ত থেকে ভক্তের ঢল আসেন এই শিব নিবাস মন্দিরে পুজো দিতে।
বিশেষত শিবরাত্রি উপলক্ষে শিবনিবাস মন্দির প্রাঙ্গণে বসে একটি মেলা। করোনা মহামারির কারণে টানা দু’বছর সেই মেলা বসতে পারেনি। তবে এই বছর মহামারির প্রভাব কিছুটা কমতেই প্রশাসনের নির্দেশে মেলা বসেছে শিবরাত্রির বেশ কয়েকদিন আগেই।
আজকের দিনে বহু দূর দূরান্ত থেকে কেউ পায়ে হেঁটে কেউ বা গাড়িতে করে ভক্তরা আসেন শিবের মাথায় জল ঢালতে ও ভক্তি সহকারে পুজো দিতে। প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই শিবনিবাস মন্দিরে এসে পুজো দিয়ে গিয়েছেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার।
তিনি এসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানিয়েছিলেন, শিবনিবাস মন্দির সংলগ্ন চূর্ণী নদীতে ভক্তরা পুজো দিতে এলে স্নান করেন। কিন্তু নদীর পাড় কাঁচা হওয়ায় খুব অসুবিধায় পড়তে হয় ভক্তদের।
তাই তিনি জানান নিজের তহবিলের টাকা দিয়ে তিনি শিবনিবাস মন্দির সংলগ্ন চূর্ণী নদীর স্নানঘাট সিমেন্টের বাঁধিয়ে দেবেন। তাঁর এই প্রতিশ্রুতিতে খুশি স্থানীয় এলাকার মানুষরা। উল্লেখ্য, রাজ্য তথা দেশ জুড়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মন্দিরটি।
সুবিশাল জায়গা নিয়ে অবস্থিত এই মন্দির। রাস্তা দিয়ে যেতে যেতে মন্দিরের মূল প্রবেশদ্বার চোখে পড়বে। প্রতিদিনই স্থানীয় তথা দূর দূরান্তের বহু মানুষ এই মন্দিরে ভিড় করেন। প্রতিদিন সকাল এবং বিকেলে নির্দিষ্ট সময়ে ভক্তদের জন্য খোলা হয় মন্দিরের দরজা।