অর্থ দফতরের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে। ২০ এবং ২১ তারিখ প্রথম বা দ্বিতীয় অর্ধে ছুটি নেওয়া যাবে না। কোনও ক্যাজুয়াল লিভ-ও নিতে পারবেন না তাঁরা। যদি এই দু’দিন কোনও সরকারি কর্মী অনুপস্থিত থাকেন সেক্ষেত্রে তা ‘ব্রেক ইন সার্ভিস’ বিবেচিত হবে এবং তাঁর অনুপস্থিত দিনের বেতনও কাটা যাবে।
নির্দেশিকা
তবে এক্ষেত্রে কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। কোনও সরকারি কর্মী হাসপাতালে ভর্তি থাকলে, পরিবারে কোনও শোকের ঘটনা ঘটলে বা ১৭ তারিখের আগে থেকে অসুস্থতার জন্য ছুটি নিয়ে থাকলে, চাইল্ড কেয়ার লিভ, মাতৃত্বকালীন ছুটি সহ আরও কিছুক্ষেত্রে ছাড় থাকছে। এই দুই দিন যদি কোনও সরকারি কর্মী কাজে না আসেন সেক্ষেত্রে তাঁর অফিস হেড বা কন্ট্রোলিং অথরিটি তাঁকে শো কজ করতে পারবেন। কেউ যদি শো কজের জবাব না দেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা হতে পারে।
উল্লেখযোগ্যভাবে, DA-র দাবিতে দিন দিন সুর চড়াচ্ছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। বাজেটের দিন তিন শতাংশ বর্ধিত DA-র কথা ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের অর্থদফতরের স্বাধীন ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এরপরেই কার্যত ফুসে উঠেছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশ। ৩ শতাংশ বর্ধিত DA-র ঘোষণা করে কার্যত ‘ভিক্ষে দেওয়া’ হচ্ছে বলেও দাবি করেছিলেন বিক্ষুব্ধ কর্মীরা।
সরকারি কর্মচারি পরিষদের তরফে দেবাশিস শীল বলেন, “আমাদের আন্দোলন আরও বাড়বে। দফতরে দফতরে রাখা হবে প্রতিবাদ কর্মসূচি।” এদিকে ২০ এবং ২১, সপ্তাহের প্রথম দুই কর্মব্যস্ত দিনে রাজ্য সরকারি কর্মীরা স্ট্রাইকের ডাক দিয়েছেন। যদিও জরুরি পরিষেবা প্রভাবিত হবে না বলেই জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
কিন্তু, যদি এই স্ট্রাইক সফল হয় সেক্ষেত্রে কর্মক্ষেত্রে বড় প্রভাব পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করছিল বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ। এবার এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে অর্থ দফতরের এই নির্দেশিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।