কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যের গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতির পাশাপাশি জেলা পরিষদের আসনগুলিতেও নির্বাচন হবে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিরোধীদের প্রতিবাদের জেরে ডায়েরি বিলি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জেলা পরিষদ।
২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলা পরিষদের বামনগোলা ব্লকের ২ নম্বর আসন থেকে বিজেপির টিকিটে নির্বাচিত হন বীণা সরকার কীর্তনিয়া। কিন্তু, জেলা পরিষদের নথি বলছে তিনি মৃত। কয়েকমাসে আগেই মালদা জেলা পরিষদের পাঁচ নম্বর আসনে বিজেপির নির্বাচিক পঞ্চায়েত সদস্য যুথিকা মণ্ডল মারা যান। জেলা পরিষদের নতুন ডায়েরিতে যুথিকা দেবাীর পাশাপাশি বীণার নামের পাশে মৃত শব্দের উল্লেখ নিয়ে যাবতীয় বিতর্কের সূত্রপাত।
তাঁর নামের পাশে ‘মৃত’ শব্দের উল্লেখ থাকায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বীণা। সরকারের বিভিন্ন দফতরের জেলা পরিষদের ডায়েরি ব্যবহার করা হয়। তথ্য খতিয়ে না দেখেই কীভাবে এমন গুরুতর ভুল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ডায়েরি বন্ধের কথা জানিয়েছেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি। তিনি জানিয়েছেন, সংশোধনের পরই জেলা পরিষদের ডায়েরি বিলি করা হবে।
বিজেপি সদস্য বীণা মণ্ডল এই প্রসঙ্গে বলেন, “এই ঘটনায় আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি, তবু আপনাদের বলতে বাধ্য হচ্ছি। তৃণমূলের এই অপসংস্কৃতি দেখুন, একজন জীবিত মানুষকে কীভাবে মেরে ফেলল। আমি সশরীরে জীবিত, তা সত্ত্বেও আমাকে মৃত লেখা হয়েছে। সভাধিপতির এই বিষয়টি দেখা উচিত ছিল, তিনি দেখেননি। এটা তৃণমূলের এটাই সংস্কৃতি। ইচ্ছে করে এই কাজ করা হয়েছে।”
অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি মহম্মদ রফিকুল হোসেন বলেন, “এটা খুবই দুঃখের ঘটনা। এই ঘটনার কথা শুনে আমাদেরও খুবই খারাপ লেগেছে। কয়েকমাস আগে জেলা পরিষদের একজন সদস্যা যুথিকা মণ্ডল মারা গিয়েছিলেন। ওনার নামের পাশে মৃত লেখার কথা ছিল, সেটাই ভুল করে বীনাদেবীর নামের পাশে হয়ে গিয়েছে। আমরা ডায়েরি বিলি বন্ধ করে রেখেছি। ভুল সংশোধন করে নেওয়া হবে।”