Barasat Girls’ High School : ক্লাসের মধ্যে ওঁরা কারা! অশরীরি আতঙ্কে পরপর স্কুল কামাই ছাত্রীদের – rumour of paranormal activity spread in barasat girls high school


West Bengal Local News: ভূতের ভয়ে ছাত্রীদের স্কুলে আসা ক্রমশই কমছিল। কী করবেন ভেবে কুল কিনারা করতে পারছিল না স্কুল কর্তৃপক্ষ। শেষেমেশ স্কুলের তরফে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের দ্বারস্থ হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। ভূতের ভয়ে যেসবছাত্রীরা স্কুল ছাড়া হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে আনতে ছাত্রী সহ অভিভাবকদের সচেতন করলেন বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা।

স্কুল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসাত উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে ক্লাস ফাইভের বি সেকশনে ভূতের আতঙ্ক ছড়ায়। গত বুধবার থেকে ছাত্রীদের মধ্যে ভূতের আতঙ্ক ক্রমশ ছড়িয়ে পড়তে থাকে। পরবর্তী দিনগুলিতে স্কুলের ওই বিভাগের ছাত্রীদের উপস্থিতির হার নজরকাড়াভাবে কমে যায়।

Dakshin Dinajpur News : গ্রামে ঘুরছে ‘ছেলেধরা’! হু হু করে কমছে স্কুল পড়ুয়াদের উপস্থিতির হার
হঠাৎ করে ছাত্রীদের সংখ্যা কমে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ। অবশেষে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের সহযোগিতায় স্কুলে সেমিনার করে ছাত্রী ও অভিভাবকদের ভূতের আতঙ্ক দূর করতে উদ্যোগী হল প্রশাসন। মঞ্চের সদস্যরা ক্লাসরুমে গিয়ে ছাত্রীদের সমস্যার কথা জানার চেষ্টা করেন। এমনকী কেন ভূতের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল, তাও জানার চেষ্টা করা হয়।

বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলার পর ছাত্রীদের দাবি, ভূতের আতঙ্ক কিছুটা হলেও কেটেছে। বিজ্ঞান মঞ্চের দাবি, ভূত বা অলৌকিক বলে কোনও কিছুরই অস্তিত্ব নেই। তাদের দাবি ভূতকে কেউ কখনও ছুঁয়ে দেখেনি বা অনুভবও করেনি। সাধারণত ভূতের উপস্থিতি অনুভব করা মনের ভুল অথবা কেউ কোনও উদ্দেশ্য নিয়ে এই ধরনের কাজ করে ভয় দেখায়।

Durgacharan Rakshit Banga Vidyalaya : ১৫০ পড়ুয়ার জন্য ৪০ শিক্ষক! ছাত্র না পেয়ে ধুঁকছে রাজ্যের নামী স্কুল
স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা পাপড়ি বসু এই প্রসঙ্গে বলেন, “বুধবার থেকে ক্লাস ফাইভের বাচ্চাদের মধ্যে ভয় সঞ্চারিত হয়েছিল। কয়েকজনের মাধ্যমেই ক্লাসে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার স্কুলে ছাত্রীদের উপস্থিতির হার কমে। সেই কারণে আজ বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা ছাত্রী ও অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনাতার বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বোঝানোর চেষ্টা করছেন ভূত বলে আদতে কিছু নেই।”

এক অভিভাবক বলেন, “ভূত নিয়ে কেউ ইচ্ছাকৃত বা মজার করার জন্য গুজব রটিয়েছে। আমরা যখন স্কুলে পড়তাম তখনও এই ধরনের মজা চলত। স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বিজ্ঞান মঞ্চ যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। মানুষের মধ্যে সচেতনতার প্রচার করা অত্যন্ত প্রয়োজন কারণ আসলে ভূত বলে কিছুই হয় না।”

Midday Meal Scheme : মিড ডে মিলের বাসি মাংসের ঝোল-ভাত খেয়ে অসুস্থ পড়ুয়ারা! উত্তেজনা কুলতলির স্কুলে
স্কুলের অদৃজা মুখোপাধ্যায় নামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রী বলেন, “আমার কয়েকজন বান্ধবীর মুখে শুনলার ভূত আঁচড়ে দিয়েছে। তবে সত্যি কথা বলতে আমার এই ধরনের কোনও সমস্যাই হয়নি। অন্যান্যদিনের মতো আমি স্কুলে এসেছি। আমি একটুও ভয় পাইনি এবং এইসব কথা বিশ্বাসও করিনি।”



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *