দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুকুল রায়ের স্নায়ুজনিত অসুখের জন্য নানা পরীক্ষা করছেন চিকিৎসকরা। তাঁকে আপাতত কড়া পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। মুকুল রায়ের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে বলেই খবর।
কেমন আছেন মুকুল রায়?
২০২২ সালেও একাধিকবার শারীরিক অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল মুকুল রায়কে। এ প্রসঙ্গে মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় বলেছিলেন, “সুগারের জন্য বাবার মাথায় ক্লট তৈরি হয়েছে। আর এই ক্লটের জন্যেই সমস্যা। এর সমাধানে অপারেশন করতে হয়। কিন্তু, বাবার বয়স হয়েছে। তাই সহজে অপারেশনের সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়।” মোটের উপর মুকুল রায় শারীরিকভাবে ‘ফিট’ নয় বলেই সে সময় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভ্রাংশু।
উল্লেখ্য, একসময় মুকুল রায়কে তৃণমূলের (Trinamool Congress) চাণক্য বলা হত। নেত্রীর ডানহাত ছিলেন তিনি। রাজনীতির ময়দানে মুকুলের ক্ষুরধার মস্তিষ্কের তারিফ করতেন বিরোধীরাও। দলের একদা সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ফের একবার পঞ্চায়েতে কাজে লাগাতে চাইছে জোড়াফুল। এমনটাই মনে করছিলেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। তবে তিনি আবার অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় উদ্বিগ্ন দল।
পঞ্চায়েতে (Panchayat Election) কী ভূমিকায় দেখা যাবে মুকুলকে?
এর আগে ভাইফোঁটা উপলক্ষে কালীঘাটে ‘মমতাদির’ কাছ থেকে ফোঁটা নিতে যান মুকুল রায়। এরপর মঙ্গলবার কৃষ্ণনগরে পৌঁছনোর পর থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee ) আশপাশেই দেখা গিয়েছিল কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ককে। রাণাঘাট সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় একুশের ভোটেও বাজিমাত করে পদ্ম শিবির। মুকুল রায়কে হাতিয়ার করেই পঞ্চায়েতে সেই সমস্ত স্থান পুনরুদ্ধারের মাস্টার প্ল্যান করছেন সুপ্রিমো। পঞ্চায়েতে আগে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের বৈঠকে ফের গুরুত্বপূর্ণ মুখ হিসেবে সামিল করা হচ্ছিল মুকুল রায়কে। পঞ্চায়েতে তাঁর ভূমিক ঠিক কী হতে চলেছে তা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন মুকুল। কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক বলেন, ” পঞ্চায়েতে তৃণমূল খুব ভালো ফল করবে। তৃণমূলেই আছি। নতুন করে কোনও দায়িত্ব আমাকে দেওয়া হয়নি । ”