রক্ত-বমি শুরু হওয়ায় তড়িঘড়ি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। দু’দিন আগে অসুস্থ হয়েছেন হাসপাতালে অপর চিকিৎসক তানিয়া ঘোষ। কর্তব্যরত চিকিৎসক সৌমেন গাইন বলেন, “এক এক জন চিকিৎসকে সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ ঘণ্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। কাউকে আবার একটানা ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করতে হচ্ছে। কতদিন এভাবে পরিষেবা দেওয়া যাবে জানি না। ইতিমধ্যেই দু’জন চিকিৎসক তানিয়া ঘোষ ও দেবস্মিতা সরকার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। যতক্ষণ না ম্যানপাওয়ার বাড়ানো হচ্ছে ততক্ষণ এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হবে না।”
ময়নাগুড়ি হাসপাতালে ১০ জন চিকিৎসক থাকলেও ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে বর্তমানে চিকিৎসক সংখ্যা পাঁচজন। দু’জন অসুস্থ। বাকি তিন চিকিৎসকের মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে মালবাজারে যাতায়াত করছেন। দুই চিকিৎসককে সামলাতে হচ্ছে ইনডোর, আউটডোর ও প্রসূতি বিভাগ।
ধূপগুড়ি হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ৮২। তাই বাড়তি চাপ নিতে হচ্ছে চিকিৎসকদের। প্রতিদিন হাজারের বেশি রোগী আসেন হাসপাতালে। তাদের চাপে রীতিমতো নাজেহাল চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মীরা।
ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে উপর নির্ভরশীল একটি গ্রাম পঞ্চায়েত, একটি পুরসভা এবং ২৭টি চা বাগানের বাসিন্দারা। অসুস্থ চিকিৎসক দেবস্মিতা সরকার বলেন, “গরম বাড়ছে তাই রোগীদের চাপও বাড়ছে হাসপাতালে। ফলে ডাক্তারদের উপরে প্রচণ্ড চাপ বাড়ছে।”