West Bengal Local News: রাজ্য জুড়ে বাড়ছে উদ্বেগ। উত্তরোত্তর জ্বর শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা শিশুর সংখ্যা বাড়ছে। অ্যাডিনো ভাইরাস (Adenovirus) নিয়ে আতঙ্কের মাঝে মঙ্গলবার রাত থেকে এখনও পর্যন্ত কলকাতা মেডিক্যালে ২টি ও বিসি রায়ে ৩টি শিশুর মৃত্যুর কথা জানা গিয়েছে। পয়লা জানুয়ারি থেকে শ্বাসকষ্টে ভুগে এ যাবৎ ৪৭টি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বাঁকুড়ায় দুই শিশু। জ্বর ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি ছিল দুই শিশু। ১ ও ৫ মাস বয়সী ওই দুই শিশুর মৃত্যু হয় এদিন। একের পর এক শিশু মৃত্যুর জেরে আপাতত একাংশের চিকিৎসকদের ছুটি বাতিলের বেশ কিছু প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
বুধবার বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Bankura Medical College and Hospital) সুপার ডাঃ সপ্তর্ষী চট্টোপাধ্যায় জানান, ”এদিন থেকেই এই হাসপাতালে এ.আর.আই (অ্যাকুইট রেসপিওটরি ইনফেকশন) ক্লিনিক খুলে গেল। একই সঙ্গে আগামী দু’-তিন দিনের মধ্যে বহির্বিভাগে এ.আর.আই-র জন্য পৃথক টিকিট কাউন্টার খোলা হচ্ছে।” Adenovirus : একজন অ্যাডিনো আক্রান্তেরও মৃত্যু হয়নি বারাসত মেডিক্যালে: হাসপাতাল সুপার
জানা গিয়েছে, হাসপাতালে ক্রমশই বাড়ছে কাশি ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে শিশুদের ভিড়। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে কম পড়ে গিয়েছে শয্যা। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের (Bankura Medical College and Hospital) সুপার জানিয়েছেন, শিশু বিভাগের চিকিৎসকরা কেউই ছুটি নিচ্ছেন না। ২৪ ঘণ্টা জরুরী বিভাগে ওই চিকিৎসকরা থাকবেন বলেও আশ্বস্ত করেছেন তিনি। এছাড়াও জেলাস্তরীয় মেডিক্যাল অফিসারদের বিশেষ প্রশিক্ষণ, জনসচেতনতামূলক প্রচার ও ছাতনা, বড়জোড়া ও ওন্দা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের পরিস্থিতির উপরে নজরদারি চালানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে ডাঃ সরকার বলেন, এখনও পর্যন্ত বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৬৬ জন অ্যাডিনো ভাইরাসে আক্রান্ত শিশু ভর্তি রয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন ‘পিকু’তে ভর্তি রয়েছে। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ভোরে ১ ও ৫ মাস বয়সী দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে বলে তিনি জানান।
শুধু বাঁকুড়াতেই নয়, জেলায় জেলায় অ্যাডিনো ভাইরাসের আতঙ্কের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিউমোনিয়া, জ্বর-শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগা রোগীদের সংখ্যা।