জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সবুজ-মেরুন জার্সির টানা আটটি ডার্বি (Derby Match) জয়ের উচ্ছ্বাস এখন পুরোপুরি উধাও। মোহনবাগানের (Mohun Bagan) পাখির চোখ এখন শনিবারের ওড়িশা এফসি (Odisha FC) ম্যাচে। আইএসএল-এর (ISL 2022-23) নতুন কাঠামোয় যুবভারতীর এই ম্যাচটি প্লে অফ এবং এই ম্যাচ জিতলেই সেমিফাইনালে যাওয়ার ছাড়পত্র জোগাড় করে ফেলবে সবুজ-মেরুন শিবির। তাই এই ম্যাচটিকে ফাইনাল ধরে তৈরি হচ্ছে জুয়ান ফেরান্দোর (Juan Ferrando) দল। লিগ পর্বের দু’টি ম্যাচের একটিতেও জিততে পারেনি ওড়িশা। একটিতে ড্র হয়েছিল। যুবভারতীতে জিতেছিল সবুজ-মেরুন। তবুও এই ম্যাচকে একটু হালকা ভাবে নিতে নারাজ সবুজ-মেরুন। কী মনোভাব নিয়ে প্লে অফে নামবে সেটা জানালেন স্লাভকো, হুগো বুমোস (Hugo Boumous) এবং প্রীতম কোটাল (Pritam Kotal)।
স্লাভকো ড্যামজানোভিচ: ডার্বিতে জেতা এবং ম্যাচের সেরা হওয়ার পরদিন সার্বিয়া ও মন্টেনেগ্রো থেকে দুটো নামী সংবাদপত্র এবং টিভি চ্যানেল আমাকে ফোন করেছিল। তাঁরা জানতে চাইছিল, ভারতীয় ফুটবল সম্পর্কে, ডার্বির পরিবেশ সম্পর্কে। ভারতীয় ফুটবল যথেষ্ট উন্নত এবং ডার্বিতে ৬০ হাজার দর্শক এসেছিল শুনে ওরা অবাক হয়েছে। এখানকার সবুজ-মেরুন সমর্থকরা মন্টেনেগ্রোর সমর্থকদের মতো উগ্র কিনা তাও জানতে চেয়েছিল। আমি তাদের বললাম, এখানকার সমর্থকরা তুলনায় অত্যন্ত শান্ত এবং জয় পাওয়ার জন্য সারাক্ষণ দলকে সমর্থন করে যায়। খুব স্পোর্টিং। ওড়িশা শক্তিশালী দল। ওদের বিরুদ্ধে যুবভারতীতে শেষ ম্যাচে কিছুক্ষণ খেলেছিলাম শেষের দিক। ওদের ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মোরিসিও এবং স্প্যানিশ মিডিও ভিক্টর রডরিগেজ পুরো দলের আক্রমণ তৈরি করে। পালটা আক্রমণে আসে। ফলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: BGT 2023: কোহলি-রোহিতদের ‘বিরাট’ ব্যর্থতার জন্য জলে গেল পূজারা-অশ্বিনদের লড়াই, হারের মুখে ভারত
হুগো বুমোস: ওড়িশা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর ফুটবল খেলে। আমাদের রক্ষণ ভাল খেলছে। চাপের মুখে কেরল ব্লাস্টার্স ও ডার্বি আমরা জিতেছি। গোলও আসছে। গোল না পেলেও নিজের খেলায় আমি খুশি। কারণ কোচ আমাকে দিয়ে যেটা করাতে চাইছেন, সেটা হচ্ছে। মানে আমাকে প্রতিপক্ষের দুই বা তিন জন মার্কিং করতে যাচ্ছে। ফলে অন্যরা অনেক জায়গা পেয়ে যাচ্ছে। গোলের মুখ খুলতে পারছে। ডার্বিতে যেটা হয়েছে। দেখা যাক, এবার কোচ কী দায়িত্ব দেন। তবে জেতার ব্যাপারে আমি একশোভাগ আশাবাদী।
প্রীতম কোটাল: কোনও দলের সঙ্গে তুলনায় যেতে চাই না। তবে ওড়িশা যথেষ্ট শক্তিশালী দল। ডান দিক থেকে ওরা আক্রমণ তোলে। বক্সের আশেপাশে স্ট্রাইকার মোরিসিও কিন্তু ভয়ংকর। চকিতে টার্ন করে গোলে মারে। এভাবেই অনেক গোল পেয়েছে ওড়িশা। ওকে কিছুতেই বক্সের আশপাশে ঘুরতে দেওয়া যাবে না। এখন সেমিফাইনাল বা ফাইনাল নিয়ে ভাবছি না। ওড়িশাকে হারানোর পর সেমিফাইনাল নিয়ে ভাবব। ম্যাচ ধরে ধরে এগোলে সাফল্য বেশি আসে।