গত শনিবার কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের পর থেকেই উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কৌস্তভের মন্তব্যের সমালোচনা করতে শোনা যায় ভগবানগোলার তৃণমূল বিধায়ক ইদ্রিস আলিকে। তিনি বলেন, “দ্বিতীয়বার বলুক, জিভ কেটে নেওয়া হবে। হাত-পা গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কত জনসমর্থন জানে না? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কত মানুষ ভালবাসেন জানে না?”
এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই কংগ্রেস নেতা নীলাভ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ইদ্রিস আলির মতো জঘন্য, অসভ্য, জানোয়ার খুব কম আছে। ওর মুখ খুললেই দুর্গন্ধ বের হয়। যেমন দেখবেন, ম্যানহোলের ঢাকনা খুললেই দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসে, ওদের মতো নেতার মুখ খুললেই দুর্গন্ধ বেরিয়ে আসে।”
তৃণমূল বিধায়ক যেভাবে ‘হাড়-গোড় ভেঙে’ দেওয়ার নিদান দিয়েছেন, সংবাদমাধ্যমের সামনে তারই পালটা আক্রমণের পথ অবলম্বন করলেন নীলাভ। তাঁর কথায়, এরকম একজন নেতার রাজনীতিতে ‘ডিমোশন’ হয়েছে। নীলাভ বলেন, ” বসিরহাটের সাংসদ ছিল। লোকের প্রমোশন হয়, ওর ডিমোশন হয়েছে। লাথি খেয়ে চলে গেল উলুবেড়িয়া বিধায়ক হয়ে। এরপর সেখান থেকেও লাথি খেয়ে ভগবানগোলার বিধায়ক হল। দিদির গুড বুকে ইদ্রিস আলির জায়গা একদম পিছনে।”
পাশাপাশি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের দিল্লি যাত্রায় ‘শুভেচ্ছা’ জানান বারাসতে প্রদেশ যুব কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক নীলাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। নীলাভ কটাক্ষের সুরে বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে. উন্নয়ন আর রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে না, অনুব্রত এবার তিহার জেলে গিয়ে শুয়ে থাকবে। কেষ্টর দিল্লি যাত্রা শুভ হোক। সফল হোক দীর্ঘস্থায়ী হোক। তিহার জেলে থাকাকালীন গড়গড় করে সব সত্যি কথা বলে দেওয়া উচিৎ।”
কংগ্রেস নেতা এদিন জানান, ‘কেষ্ট’র দিল্লির তিহার জেলে যাচ্ছে। এটা রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ তিহার জেলে যে পরিবেশ তা বাংলা থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এখানে কেষ্টকে যে ‘জামাই’ আদর দিচ্ছিল, তা একদমই থাকবে না। সেখানে ইডি ও সিবিআই-এর যৌথ জেরায় ‘কেষ্টর পেট থেকে সব সত্যি বেরিয়ে আসবে’ বলে দাবি করেন নীলাভ বন্দ্যোপাধ্যায়।