Asansol News : ছেলেকে হারিয়েছেন, পরম স্নেহে ‘মেয়ে’-কেও দিলেন বিদায়! অনন্য নজির আসানসোলে – a family organized re marriage for their widow daughter in law in asansol


West Benh News : টেলিভিশন বা ইন্টারনেট খুললেই এখন জায়গায় জায়গায় বধূ নির্যাতন, বধূ হত্যা, পণের জন্য নির্যাতন ইত্যাদি ইত্যাদি খবর জলভাত হয়ে গিয়েছে। সমাজের বিশিষ্ট মানুষেরা এগুলিকে সামাজিক ব্যাধি হিসেবেও অভিহিত করেন। কিন্তু এত এত খারাপ খবরগুলির মাঝেও এই খবরটি পড়ে মানুষ বুঝবেন, এখনও সমাজে ভালো কিছু মানুষ আছেন, যারা বাড়ির বধূকে স্রেফ বধূ হিসেবে না দেখে, বাড়ির মেয়ে হিসেবেই দেখেন।

এমনই এক জলজ্যান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করল আসানসোলের (Asansol) এক পরিবার। দুর্ঘটনায় স্বামী হারানো এক গৃহবধূর পুনরায় বিবাহের আয়োজন করল তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরাই। অবিশ্বাস্য এমন শুভ বিবাহ সম্পন্ন হল আসানসোলের মা ঘাঘর বুড়ি মন্দিরে।

Howrah News : ‘আমার গায়ে আগুন লাগিয়েছে…’, মৃত্যুশয্যায় স্ত্রীর জবানবন্দির ৬ মাস পর যাবজ্জীবন স্বামীর
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, আসানসোলের হরিপুরের কেন্দা এলাকায় ২০১৩ সালে বিয়ে হয়েছিল রিম্পি চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু ২০১৬ সালে রিম্পির স্বামী চাঁদা মোড়ের কাছে একটি পথ দুর্ঘটনায় মারা যান। তারপর থেকে রিম্পি দেবী শশুর বাড়িতেই ছিলেন।

কিন্তু বর্তমানে তার বয়স মাত্র ২৯। অল্প বয়সেই বিধবা হয়েছিলেন তিনি। ফলে তার বাকি জীবনটা কি হবে সেটা ভেবেই শ্বশুর বাড়ির লোকেরাই তারা আবার নতুন করে বিবাহের আয়োজন করলেন। আসানসোলের কাখয়া এলাকার বাসিন্দা রঘুনাথ রায়ের সঙ্গে সম্বন্ধ করে পাকা দেখা দেখে রিম্পির আবার বিয়ে দিলেন তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

Asansol Road Accident : আনন্দে মুহূর্তে বদলে গেল কান্নায়! আসানসোলে ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে বরযাত্রী, তারপর…
এই বিষয়ে রিম্পির ভাসুর পৃথ্বীরাজ জানিয়েছেন, “যেভাবে মেয়ের বিয়ে দেয় সেভাবেই আমরা আমাদের বাড়ির গৃহবধুর বিয়ে দিলাম। ওর বাকি জীবনটা সুন্দর করে কাটুক। রিম্পি যেমন নিজের স্বামীকে অকালে হারিয়েছিল, আমিও তেমন অকালে আমার ভাইকে হারিয়েছি। তাই চেষ্টা করে রিম্পিকে আবার স্বামী ফিরিয়ে দিলাম। আমি জানি আমার ভাইকে কোনোদিন ফিরে পাব না। কিন্তু রিম্পি আমার বোনের মতন, সে আবার স্বামী সংসার ফিরে পেল, এতেই আমি এবং আমার পরিবার খুশি।”

Purulia News : পছন্দ হয়নি বিয়ের জিনিস! বছর না ঘুরতেই নব বধূকে খুনের অভিযোগ শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে
অন্যদিকে পাত্রের কাকা কেশব রায় জানিয়েছেন, “মেয়েটির স্বামী মারা গিয়েছে আগেই। তার বাকি জীবনটা যাতে হতাশায় না কাটে তাই আমরা এই বিয়েতে রাজি হই। এবং আমার ভাইপোর সঙ্গে বিয়ে স্থির করি। এতে কোনও লেনদেনের ব্যাপার নেই। রিম্পির আগের শ্বশুরবাড়ির লোকজন এক মহৎ কাজের ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছিলেন। আমরা সেটার শরিক হলাম মাত্র।”

এই বিয়ের খবরে দুই পরিবারের যথেষ্ট প্রশংসা করে সাধুবাদ জানিয়েছেন হরিপুর কেন্দা ও কাখয়া, দুই এলাকার মানুষেরাই।



Source link

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *